পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কপ-২৮ এর ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের সাফল্য নির্ভর করবে এর পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহ এবং কত দ্রুত তা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের কাছে বিতরণ করা যায়।
তিনি বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান তীব্র চাহিদা মোতাবেক কপ-২৮এর জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতিগুলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করতে সৌদি আরবের প্রতি পরিবেশমন্ত্রীর আহ্বান
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অনুষ্ঠানরত ‘ডেলিভারিং দ্য ইউএই কনসেনসাস গ্লোবালি: অ্যাগ্রিমেন্ট থেকে অ্যাকশন’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সিং এর একটি সর্বসম্মত সংজ্ঞা নির্ধারণ অপরিহার্য।
তিনি বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্লোবাল স্টকটেকের ফলাফল বাস্তবায়ন করতে হবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিদ ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
আরও পড়ুন: টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, প্রশমন কর্মকাণ্ড এবং জাস্ট ট্রানজিশন পাথওয়ের কর্মকাণ্ডগুলোকে ২০২৪ সালে জিএসটি ফলাফল বাস্তবায়ন এবং প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নে অবদান রাখতে সহায়তা করবে এমন ক্রিয়াকলাপগুলো অব্যাহত রাখতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গৃহীত ঐকমত্য অনুযায়ী উচ্চাভিলাষী ফলাফলকে বাস্তবায়ন করতে হবে যা ১ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড এবং আমাদের বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যদের চাহিদার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কপ ২৮ থেকে গ্লোবাল স্টকটেক সিদ্ধান্ত ২০২৪ এর জন্য ফলো-আপ টাস্ক গুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছে যা সময়মত বাস্তবায়ন এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য জলবায়ু কর্মের অগ্রগতি ট্র্যাক করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে বেস্ট প্রকল্পকে সফল করতে পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশ