তিনি বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে সারা দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। সঠিক সময়ে নতুন ফসল ঘরে তুলতে পারলে খাদ্যের সমস্যা হবে না। খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করার জন্য আমাদের এখন থেকেই যুদ্ধ করতে হবে।’
সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রংপুর বিভাগের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।
রংপুর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সে জন্য খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট বিক্রি করেন তাহলে সেই কৃষকের কার্ড বাতিল করা হবে এবং সেসব মধ্যস্বত্বভোগীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সে জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেন মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, রংপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা ও দিনাজপুর জেলার জেলা প্রশাসক এবং রংপুর বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।