খাদ্য নিরাপত্তা
বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত ইউএই: পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান- বিশেষ করে খাদ্য নিরাপত্তা এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে চিঠি দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
চিঠিতে তিনি বলেন, 'বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও বৃদ্ধি ও উন্নয়নে আমি আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করায় ড. হাছান মাহমুদকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাও জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১৯৭৪ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত-বাংলাদেশ সম্পর্কের 'ধারাবাহিক উন্নয়নের' প্রশংসা করেন এবং এই অগ্রগতি অর্জনে উভয় পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরা হয় ড. হাছানকে লেখা ওই চিঠিতে।
আরও পড়ুন: বিএনপি এখন বলে, তারেক জিয়াই সব শেষ করল: নীলফামারীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২৪ সালকে সংযুক্ত আরব আমিরাত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হিসেবে উল্লেখ করে বিদ্যমান শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার ও সম্প্রসারণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের নতুন কাজের সাফল্য কামনা করে এবং বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করে তার চিঠি শেষ করেন।
শেখ আবদুল্লাহর পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের কাছে শুভেচ্ছা পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: এই সরকার জনগণের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে
আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলমান আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সফলভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করেছে। বর্তমান আন্তর্জাতিক সংকটের মধ্যেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রয়েছে।’
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতয়ি সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের (নওগাঁ-২) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে দিনের কার্যক্রমের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব উপস্থাপন করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ‘সরকার আমাদের (খাদ্য) স্বয়ংসম্পূর্ণতা বজায় রাখার জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করছে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে সংকট তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই পরিস্থিতিতে সরকার এই সংকট মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, ক্রমাগত উপকরণ সহায়তা ও কৃষি খাতে নীতি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সফলভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশকে দুর্ভিক্ষমুক্ত রাখতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩২৮.৯৬ লাখ টন, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেড়ে ৪৭৭.৬৮ লাখ টন হয়েছে।
১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের (লক্ষ্মীপুর-১) অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশ তাদের নিজ নিজ দেশে সংঘটিত গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পরে ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, যেহেতু ৯ ডিসেম্বরকে গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে, তাই একই ইস্যুতে আরেকটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব যৌক্তিক হবে না।
তিনি বলেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও শহীদ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংসদ নেতা বলেন, গণহত্যা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সংঘটিত ১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিশ্বের অন্যান্য গণহত্যার মতোই জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
আরও পড়ুন: যেকোনো সংকট এড়াতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তবে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরি করে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সহজ হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনের, ২০০৯ সাল থেকে ১১৩১টি সেতু নির্মিত: প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদের (ঠাকুরগাঁও-৩) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বর্তমান সরকার তিন মেয়াদে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে ৪৩১টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। এ ছাড়া একই সময় ১১ হাজার ৪৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক তৈরি করা হয়েছে এবং ১ হাজার ১৩১টি সেতু (১২৩,২৫৪ মিটার) নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৫৭৪ কিলোমিটার মহাসড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ, ৪৬৩৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নয়ন এবং ১৩১টি প্রকল্পের অধীনে ৭৫০টি সেতু (৬৪,৮৪৪ মিটার) নির্মাণের কাজ চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়া মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ককে ৪-লেনে উন্নীতকরণ (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম সেকশন) প্রকল্প, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, জয়দেবপুর-চন্দ্রা। টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক প্রকল্পের উভয় পাশে সার্ভিস লেন; ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা-মাওয়া অংশ (ইকুরিয়া-বাবুবাজার সংযোগ সড়ক সহ)।
তিনি বলেন, সরকারের তিন মেয়াদে নির্মিত সেতুগুলোর মধ্যে রয়েছে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর নির্মিত দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতী সেতু, পায়রা সেতু (লেবুখালী সেতু) এবং আন্তঃসীমান্ত সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের (বাংলাদেশ) আওতায় মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত মধুমতি সেতু।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ বেড়েছে ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার:
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের (নোয়াখালী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ এখন ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ডিসিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
এ ছাড়াও, ৪১টি কোম্পানি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করেছে এবং ৫০টি শিল্প বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মাণাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি এই শিল্পগুলো ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য উৎপাদন করেছে এবং ২৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সঙ্গে এই শিল্পগুলো ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
১ বছর আগে
৩৫ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রবিবার (৬ আগস্ট) ৩৫ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন কৃষি ঋণ বিতরণ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় এই ব্যাংক এবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকার চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, যাদের ছাদে বাগান রয়েছে তারাও খামার ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান খান। এ সময় কৃষিঋণ অধিদপ্তরের (এসিডি) পরিচালক কানিজ ফাতেমাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষি ও গ্রামীণ ঋণের চাহিদা বিবেচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশে বিদেশি ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোকে ১ হাজার ৪৭ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্যাংক পরিচালক হতে পারবেন এক পরিবারের সর্বোচ্চ ৩ জন: বাংলাদেশ ব্যাংক
২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ করেছে। যা আর্থিক বছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরে মোট ৩৬ দশমিক ১৮ লাখ কৃষক কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ পেয়েছেন। যার মধ্যে ১৮ দশমিক ৮১ লাখ নারী প্রায় ১২ হাজার ৭৫২ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা ব্যাংক এবং মাইক্রো ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট (এমএফআই) বা এনজিও থেকে ঋণ পেয়েছেন।
বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে কৃষি ঋণ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াও, বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডকে (বিআরডিবি) কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ হিসাবে যথাক্রমে ২৬ কোটি টাকা এবং ১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল।
ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, সিন্ডিকেটকৃত ঋণ বিতরণ) এবং ব্যাংক-এমএফআই সংযোগগুলো ক্রেডিট বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ব্যবহার করবে।
এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ৯৫ হাজার টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতি ও ডলার সংকট স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক
১ বছর আগে
ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কৃষিজমি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হলে কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থাকে রূপান্তর করে যুগোপযোগী করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাশরুম চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশে দারিদ্র্য থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রোমের স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদর দপ্তরে চলমান ইউএন ফুড সিস্টেমস সামিটের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর শীর্ষক প্লেনারি সেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষিতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এত বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি সারা বিশ্বেই বিরল। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। ভবিষ্যতেও এ ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সরকার।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরে বাংলাদেশ সরকার সমন্বিত বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধিকরণ, বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ, জলবায়ু সহনশীল কৃষি গড়ে তোলা ও কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার পার্টনার প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়েছে। এফএওর কাছ থেকেও সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হওয়ায় তলাবিহীন দেশ এখন উন্নত বিশ্বের কাতারে। বিশ্ব আমাদের রোল মডেল হিসেবে বিবেচনা করে। আর এক্ষেত্রে কৃষির বিরাট অবদান রয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন, তা বাস্তবায়ন জরুরি।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর হাতে এক দফার লিফলেট দিলেন বিএনপি নেতা মিলন
কোনো শক্তিই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে সরকার: ড. রাজ্জাক
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষিখাতে চলমান ভর্তুকি অব্যাহত রাখবে।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ সীড কংগ্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রাজ্জাক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক বাজারে সারসহ কৃষিসংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও সরকারের দেয়া ভর্তুকির কারণে দেশে সারের দাম এক পয়সাও বাড়েনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিম্নমানের বীজ নিয়ে এখনো অনেক অভিযোগ রয়েছে। মাঠ পর্যায় থেকে খবর পেয়েছি যে চারা অর্ধেক বেড়ে ওঠেনি। এখনো কিছু সংস্থার কৃষকদের প্রতারিত করার প্রবণতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, অনেক সময় নিম্নমানের বীজ কিনে কৃষকরা প্রতারিত হন। এতে, একদিকে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অন্যদিকে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানসম্মত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে ধানের উৎপাদন ২১ লাখ টন বাড়ানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জ্যান বেইলি, এফএও'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিশ প্যাটেল, ইন্টারন্যাশনাল সিড ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল কেলার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বীজ সমিতির সভাপতি এম আনিস উদ দৌলা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সাত্তার মন্ডল দেশের বীজ পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ভালো মানের বীজ সরবরাহের ফলে ইতোমধ্যে ফলন বেড়েছে ৮-১০ শতাংশ। ভালো মানের বীজ সরবরাহ করতে পারলে বছরে ২১ লাখ মেট্রিক টন চালের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
বেসরকারি খাতে বীজ উৎপাদন এবং বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বীজ সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
দেশের নির্বাচনে বিদেশিরা ভূমিকা রাখতে পারবে না: রাজ্জাক
১ বছর আগে
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প
খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন প্রকল্প গঠন করেছে।
এই তহবিল থেকে কৃষকরা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন। তারা এই তহবিল থেকে তিন মাসের অতিরিক্ত সময়সহ সর্বোচ্চ ১৮ মাসের জন্য ঋণ নিতে পারে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, কৃষকরা এই তহবিল থেকে ফসল চাষ, মাছ, হাঁস-মুরগি, দুগ্ধ, শাকসবজি, ফলমূল এবং ফুলকে মজবুত করার জন্য ঋণ নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাচায় ঝুলছে কৃষকের স্বপ্ন!
সরবরাহ ব্যবস্থাপনা বিঘ্নিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমতাবস্থায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়াতে হবে।
এ লক্ষ্যে কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণের প্রবাহ বজায় রাখতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই তহবিল থেকে শুধুমাত্র কৃষকরাই ঋণ পাবেন। ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকরা ধান, সবজি, ফল ও ফুলসহ ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পাঁচ একর জমিতে চাষাবাদের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ফসলের দায়বদ্ধতার বিপরীতে ঋণ বিতরণ করা যেতে পারে।
এছাড়া গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক ইচ্ছা করলে জামানত নিয়ে ঋণ দিতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এই তহবিল থেকে ঋণের অর্থ গ্রাহকের পুরনো ঋণ সমন্বয় করতে ব্যবহার করা যাবে না। ঋণখেলাপিরাও এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না।
এই ঋণ বিতরণের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। যা প্রয়োজন হলে বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ী: সবুজ রঙে সেজেছে কৃষকের মাঠ
রেললাইনের পতিত জমিতে আনারস চাষে সফল কৃষক
২ বছর আগে
বাজেট ২০২২-২৩: খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সারে ভর্তুকি বাড়াবে সরকার
দেশীয় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে সারের ভর্তুকি বাড়িয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বিশ্ববাজারে সারের দাম ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি সত্ত্বেও সরকার কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে আরও ফসল উৎপাদন নিশ্চিত এবং স্থানীয় বাজারে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে দাম বৃদ্ধি এড়াতে চায়।
২০০৮-০৯ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত গত ১৩ বছরে সরকার একক এই খাতের জন্য প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সারের ভর্তুকি বাবদ সাত হাজার ৭১৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষকদের সার ও বীজে প্রণোদনাসহ কৃষি উপকরণ ব্যবহারে উৎসাহিত করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি অর্থ বিভাগের সুপারিশের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কৃষি খাতে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে খাদ্য উৎপাদনে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা এড়াতে চায় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পতিত জমি চাষে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার এই খাতের জন্য ভর্তুকি হিসাবে মোট সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সরকারের প্রকৃত ভর্তুকি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, ২০২২-২৩ সালের বাজেটে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে এ বছর সরকার সার ভর্তুকি বাবদ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।
২ বছর আগে
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উদ্ভাবনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি বিজ্ঞানীদের জলবায়ু সহিষ্ণু ফসলের উদ্ভাবন এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভিযোজনের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি একই উদ্দেশ্যে খাদ্য সংরক্ষণ, ফসল-পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস ও পুষ্টি নিরাপত্তার ওপর জোর দেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চার সদস্যের কানাডার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (জিআইএফএস) সিবিই, ডিরেক্টর ফর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ এবং চিফ অপারেটিং অফিসার স্টিফেন ভিসার।
আরও পড়ুন: বিদেশিদের কাছে অভিযোগ না করতে শ্রমিক নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন-ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা) ড. বালাজিৎ সিং, ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের জিআইএফএসের বঙ্গবন্ধু রিসার্চ চেয়ার ইন ফুড সিকিউরিটি ড. অ্যান্ড্রু শার্প ও ঢাকায় কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচোয়ানের গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (জিআইএফএস) কানাডা ও বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা সহযোগিতা বাড়াতে গত বছর ঢাকায় একটি আঞ্চলিক কার্যালয় খুলেছে। প্রতিনিধি দলটি সেটি পরিদর্শন করতে এখানে এসেছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা প্রতিনিধিদলকে বলেন, ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন কানাডার তৎকালীন ট্রুডো সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পাকিস্তানে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কানাডিয়ান সরকার বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখে।’
সাক্ষাৎকালে স্টিফেন ভিসার বলেছেন, তারা বাংলাদেশে অবস্থিত জিআইএফএসের আঞ্চলিক কার্যালয়ে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা প্রদান করবেন।
আরও পড়ুন: পেছনের দরজায় নয়, আ’লীগ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া ড. বালাজিৎ সিং বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা যাবেন তাদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবেন তারা।
ড. অ্যান্ড্রু শার্প বলেছেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন এমন ব্যক্তিকে তিনি দিক নির্দেশনা দেবেন।
বাংলাদেশের কাঁঠাল ও উদ্ভিদ জেনেটিক্সের বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে কাজ করার বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে প্রতিনিধিদল।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী
ফসলের অনেক নতুন জাত ও চাষাবাদের প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ক্রমশ জনসংখ্যা বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে খাদ্য নিরাপত্তায় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। দেশে ১৭ কোটি মানুষ রয়েছে; আর প্রতি বছর বাড়ছে ২২-২৩ লাখ করে। অন্যদিকে নানা কারণে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ কমছে। রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবও। এ অবস্থায় দেশের মানুষকে খাওয়ানো, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: খামারিদের দেয়া সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: কৃষিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় 'ব্রি-৮১ জাতের ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, 'আজকে বরেন্দ্র অঞ্চলের রহনপুরের এই মাঠে ব্রি ৮১ জাতের ধান কাটা হচ্ছে। এর ফলন অনেক ভালো। বিঘা প্রতি ৩১ মণ, প্রতি শতকে প্রায় ১ মণ। এটি জনপ্রিয় ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের মত। ব্রি ২৮ ও ২৯ দীর্ঘদিন ধরে চাষ হচ্ছে কিন্তু উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সেজন্য এই নতুন ব্রি ৮১ জাতটি কৃষক পর্যায়ে দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চাষিরাও এটি চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অচিরেই ব্রি ধান ৮১ জনপ্রিয়তায় ব্রি ধান ২৮ এর মতো হবে। এ উচ্চফলনশীল জাতটি চাষের মাধ্যমে ধান উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়বে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় এটি আশানুরূপ ভূমিকা রাখবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর।
আরও পড়ুন: ধান-চাল ক্রয়ের জন্য যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করা হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি হামিদুর রহমান, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার, বারির মহাপরিচালক ড. নাজিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
৩ বছর আগে
আমাদের খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। চলমান করোনার কারণে যদি খাদ্যসংকট বা দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও খাদ্য পাওয়া কঠিন হবে, অনেকক্ষেত্রে পাওয়াই যাবে না।
৩ বছর আগে