বাম্পার ফলন
ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন, ৫০০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা
দীর্ঘ সময় ধরে পেঁয়াজ চাষাবাদের সুনাম রয়েছে ফরিদপুর জেলার। পেঁয়াজ উৎপাদন করে থাকে এ জেলার চাষিরা। পাটের পরে ধান ও পেঁয়াজ আবাদে চাষিদের আগ্রহ রয়েছে। কারণ এ জেলার মাটি পাট পেঁয়াজ ও ধান উৎপাদনে উৎকৃষ্ট। পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলার স্থানটি দখলে রেখেছে ফরিদপুর।
গত এক যুগ ধরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন হচ্ছে ফরিদপুরে। দেশের সরকারি পেয়াঁজ বীজের চাহিদার মোট ৫০ শতাংশ বেশি বীজ সরবরাহ করে ফরিদপুরের চাষীরা। আর এই কৃষি পণ্যটি উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে তারা ( জেলার পেঁয়াজ বীজ চাষিরা)।
এজন্যই এই বীজকে 'কালো সোনা' বলে এ অঞ্চলের মানুষ। সেই বীজ (কালো সোনা) উৎপাদনে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে এখন চাষিরা। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।
জেলার সদর, বোয়ালমারী, ভাঙ্গা, মধুখালী ও সদরপুর উপজেলার মাঠগুলোতে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু, সাদা কদম ফুলের সমারোহ।
সরজমিনে ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠজুড়ে পেঁয়াজের সাদা ফুল দেখা মেলে। এই খেতগুলোতে এখন কৃষক কৃষানিরা পরিবারেরর সদস্য ও শ্রমিক নিয়ে সাদা কদমে হাত দিয়ে পরাগায়নের কাজ করছেন। কোথাও আবার আগাছা পরিষ্কার ও কদম পচা রোথে ঔষধ স্প্রে করছে।
এ মৌসুমে পেঁয়াজের ভালো উৎপাদনের পর ফরিদপুরে বাম্পার ফলন হয়েছে পেঁয়াজ বীজ আবাদেও।
অম্বিকাপুরের কৃষানী শাহেদা বেগম ও লাভলী পারভিন জানান কিভাবে কালো সোনা খ্যাত পেয়াঁজ বীজ উৎপাদন হয়, ছোট শিশুর মতো যত্ন করতে হয় এই বীজ উৎপাদনে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আবাদ শুরু হয়ে ফলন উঠবে এপ্রিল-মে’তে। এরপর এক বছর বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তী বছরে করা হয় আবাদ ও বিক্রি। তবে চলতি মৌসুমে মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ন করতে হচ্ছে।
পেঁয়াজের এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেঁয়াজ বীজের ক্ষেতে কাজ করতে আসে শ্রমিকরা। তারা জানায় বীজের খেতে কাজ করেই চলে তাদের সংসার ও সন্তানদের পড়ালেখা।
পাবনা থেকে ফরিদপুরে পেয়াঁজ বীজ খেতে কাজ করতে আসা আনোয়ার, কুষ্টিয়া থেকে আসা আব্দুর রহমান প্রামানিক, রহিম মোল্লা, শইব্রাহিম শেখ'র মতো বেশ কয়েজন শ্রমিক জানান, এ মৌসুমে বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা পেঁয়াজ চাষাবাদের কাজে যুক্ত হতে ফরিদপুর অঞ্চলে গত এক যুগের বেশি সময় ধরে আসছে।
তারা জানান, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি পেঁয়াজের বীজ ঘরে তোলা পর্যন্ত। ভালো দানা উৎপাদন করতে পারলে মালিকের যেমন লাভ হয়, তেমনি আমাদেরও আর্থিক পরিবর্তন আসে জীবনমানের।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল করতে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে: ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক
এদিকে মাঠের পর মাঠ বীজের সাদা ফুলের সৌর্ন্দয্য দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসছে মাঠগুলোতে। নানা অঙ্গ ভঙ্গিতে তুলছেন সেলফি। আবার দলবেধে এসে করছেন সুটিং।
কৃষি বিভাগ জানায়, দেশের চাহিদার অর্ধেক বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে এ জেলায়। এবছর পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদিত বীজের বাজার মূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন বলেন, গুণগত মান ভালো হওয়ায় ফরিদপুরের বীজেরে চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। প্রকার ভেদে এর বাজার মূল্য দুই লাখ থেকে পাঁচ লাখ পর্যন্ত ওঠে। এই কৃষি পণ্যটির বাজারমূল্য অধিক হওয়ায় ‘কালো সোনা’ বলে অভিহিত করে।
সম্প্রতি কয়েক বছর হলো পেঁয়াজ বীজ খেতে মৌমাছির উপস্থিতি কমে গেছে। এ কারণে পরাগায়নের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা চাষিদের ফুলের উপর হাত দিয়ে পরাগায়ন কিভাবে করতে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজের আবাদ হয়েছে। দিন দিন পেয়াঁজ বীজ আবাদের চাষির সংখ্যা বাড়ছে।
তিনি জানান, এবারের আবহাওয়া ভালো থাকায় ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬৪ টন। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পেঁয়াজের চাষ বেড়ে দ্বিগুণ
১৭ দিন আগে
কয়রায় সরিষার রেকর্ড চাষাবাদ, বাম্পার ফলন
খুলনার কয়রা উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার আমাদী, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা সদর, উওর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চারপাশের সরিষা খেতগুলো শুধু সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে।
সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির ষড়ঋতুর এই দেশে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেমন প্রকৃতির রূপ বদলায়, তেমনি বদলায় ফসলের মাঠও।
কখনও সবুজ, কখনও সোনালি, কখনও-বা হলুদ। এমনই ফসলের মাঠ পরিবর্তনের এ পর্যায়ে হলুদ সরিষা ফুলের চাদরে ঢাকা পড়েছে ফসলের মাঠ। বিকাল হলেই মাঠগুলোতে প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোঁআশ ও বেলে-দোঁআশ মাটিতে। বর্তমানে সরিষা একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় কয়রায় ধীরে ধীরে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কয়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। সরিষা চাষে উপজেলার ২০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এই প্যাকেজে প্রত্যেক কৃষক পেয়েছেন ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং ১ কেজি সরিষার বীজ।
কালনা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি এ বছরে ৭ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। গত বছরও ৫ বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছিলাম, ফলন বাম্পার হয়েছিল। এ বছরও বাম্পার হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তরুণ কৃষক আশরাজ্জামান লিটন বলেন, আমি কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এ বছর আমি প্রথমবার সরিষা লাগিয়েছি। ফলনও বাম্পার হয়েছে। যদি কোনো দুর্যোগে আঘাত না হানে, তাহলে বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে।
বেদকাশী গ্রামের কৃষক মোহর আলী গাইন বলেন, আমি প্রতি বছর সরিষা লাগাই। এ বছরে ২ বিঘা জমিতে সরিষা লাগায়েছি। ভালো ফলন হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে সরিষার বাম্পার ফলন, লাভের প্রত্যাশা
কম খরচে সরিষা চাষে বাম্পার ফসল পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কয়রা উপজেলায় সূর্যমুখীর পাশাপাশি সরিষার ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। এবার অতিবৃষ্টির কারণে আমন দেরিতে হওয়ায় সরিষার আবাদ কিছুটা কম হয়েছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তেরের পরামর্শে কৃষক ভাইয়েরা বিনা চাষে সরিষার আবাদ করে ক্ষতি পুষিয়ে নিয়েছেন।
৭১ দিন আগে
মাগুরায় আখের বাম্পার ফলনে চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় এ বছর গ্যান্ডারি জাতের আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় এবং দাম ভালো পাওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন অনেকেই।
শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদাহ, ঘসিয়াল, কাদিরপাড়া, আমলসার, ছাবিনগর, বিলনাথুর, বিলসোনাই, চরপাড়া, কচুবাড়িয়া, সোনাতুন্দীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আখ চাষ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এই ফসল আবাদ করলে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। আখ খেতে সাথী ফসল চাষ করা যায়।
আরও জানানো হয়, চলতি বছর উপজেলায় ৬৩ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর জাতের আখ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১৮ হেক্টর বেশি৷ ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৬০ থেকে ৬৫ মেট্রিক টন। এঁটেল, দো-আঁশ কিংবা বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির মাটি আখ চাষের জন্য উপযোগী। চরাঞ্চলের মাটি আখ চাষের জন্য ভালো।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বোরোর বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
নদ-নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় যে কোনো ফসল চাষাবাদের জন্য এখানকার মাটি বেশ উপযোগী। এ উপজেলার অন্যান্য অঞ্চলেও আখ চাষ সম্ভব। কিন্তু প্রধান অন্তরায় চাষিদের সচেতনতার অভাব।
উপজেলার কচুবাড়িয়া গ্রামের চাষি রওশন মোল্লা বলেন, আখ আবাদে একটু পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। আখ চাষে অল্প খরচে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা বলেন, ‘আখ চাষ খুব লাভজনক। লাল পঁচা রোগ ছাড়া এ ফসলে তেমন জটিল রোগ নেই। বর্তমানে আমরা উপজেলায় চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী জাতের আখ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আখ চাষে সাথী ফসল হিসেবে সরিষা, মুলা ও মসুর চাষ করা যায়। এছাড়া কৃষকদের ফিলিপাইনের কালো জাতের আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।’
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন
সিরাজগঞ্জে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
৫২২ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে বোরোর বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
কৃষিতে স্বনির্ভর দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়ায় প্রতিকূলতার কারণে গত মৌসুমে বোরোতে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হয়েছিল কৃষকদের।
এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো এবং গত মৌসুমের তুলনায় এই মৌসুমে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পেরে খুশি জেলার কৃষকেরা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তেমন বড় কোনো ঝড়-বৃষ্টি ও দুর্যোগ না হওয়ায় ধানের ফলনের গতবছরের তুলনায় এবার একরপ্রতি ৫-১০ মণ করে ফলন বেশি হয়েছে।
কারও কারও বিঘায় ৬০-৬৫ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে। আর বর্তমানে ৮০ কেজির এক বস্তা কাঁচা ধান ১৮শ’ থেকে প্রায় ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে।
এক বিঘা জমিতে তাদের খরচ হয়েছে ২০-২২ হাজার টাকা, আর বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তাই এবার তারা ফলন ও দামে সন্তুষ্ট।
মাঠেই ধান মাড়াই করে আবার মাঠেই ধান বিক্রয় করছিলেন সদর উপজেলার রহিমানপুর দাসপাড়া গ্রামের কৃষক গোবিন্দ রায়।
তিনি বলেন, এবার আমাদের ৫০ শতকের এক বিঘা জমিতে ধান হয়েছে ৫০ মণ করে। আর প্রতি মণ ধান বিক্রয় করলাম ৯২৫ টাকা করে। তাতে এক বিঘা জমির ধানের মূল্য পেয়েছি ৪৬ হাজার টাকার ওপরে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাম্পার ফলন
৬৫১ দিন আগে
বিশ্বনাথে সরিষার বাম্পার ফলন
সিলেটের বিশ্বনাথে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি এবার সরিষার আবাদ বেড়েছে বহুগুণ। রোগ-বালাই না থাকায় অন্য ফসলের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকেছে সরিষা চাষে।
এবার উপজেলায় সরিষার হলুদ ফুলের বর্ণিল সাজে সেজেছে মাঠের পর মাঠ।
ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জন এখন সর্বত্র। অপরূপ এ দৃশ্য দেখে কৃষকদের মুখেও হাসির ঝিলিক। মনে হয় তারা তাদের জমিতে সোনা ছড়িয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সরিষার বাম্পার ফলন
এবার উপজেলায় সরিষার আবাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে হচ্ছে না এ সরিষার চাষ। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়- দশঘর, রামপাশা, খাজাঞ্চী ও দৌলতপুর এলাকায় কিছুটা চাষ হলেও সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে অলংকারী ইউনিয়নে।
ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে মূলত তাদের এ সরিষা চাষ। এবার ফসলি জমিতে সরিষার বাম্পার ফলন হবে মনে করছেন কৃষকরা। তারা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। আশা করছেন এবার প্রতি বিঘা জমিতে সরিষা পাঁচ থেকে ছয় মণ উৎপাদন হবে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি।
এ কারণে সরিষা আবাদে এখানকার কৃষকরা সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা পেলে তারা আরও বেশি করে সরিষা চাষ করবেন এমনটিই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কৃষকদের।
সরেজমিনে উপজেলার সরিষা চাষি জমসিদ মিয়া বলেন, উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক সার, বীজ ও পরামর্শ পেয়ে প্রথমবারের মতো সরিষা চাষ করছি। আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র ধর জানান, তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে এ বছর সরিষা চাষ সম্প্রসারণে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারে উপজেলায় ৪২২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে যা অন্য বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরর চেয়ে বেশি।
কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে সার বীজও প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
হলুদে ছেয়ে গেছে মাঠ, সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষক
৭৫৮ দিন আগে
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন
মাদারীপুরে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাকা সরিষা ঘরে তোলা নিয়ে এখানকার চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
জানা গেছে, বাজারে ভোজ্যতেলের অতিরিক্ত দাম থাকার কারণে জেলার চাষিরা এবার সরিষা আবাদের প্রতি ঝুঁকে পরে। যে কারণে গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূএে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার চারটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে।
সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের ব্লক সুপার ভাইজার ইয়াছমিন (৩২) জানান, এই ইউনিয়নের লক্ষিগঞ্জ গ্রামের মেরজন খালাসি (৪৮), শাহাদত খা (৫০), মোকতার মোল্লা (৪৫), হালিম মোল্লা (৬৩), বারেক কাজি (৬৪), মিজান কাজি (৪৫), কালাম কাজি (৫০), নুর ইসলাম ফকির (৭০), বাবুল মুন্সি (৫০) ও আনু হাওলাদার (৩৫) এর সরিষা আবাদ ভাল হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
এছাড়া এলাকায় চলতি মৌসুমে অসংখ্য কৃষক সরিষা আবাদ করেছে।
এদিকে সরিষা চাষি মেরজন খালাসি জানান, বর্তমান মাদারীপুর পুরান বাজারে প্রতিমণ সরিষা তিন হাজার ৩০০ টাকা থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এক বিঘা (৬৩ শতাংশ) জমিতে ১২/ ১৩ মন সরিষা উৎপাদন হয়। এতে ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে।
কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাদারীপুরের চারটি উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করা যায়।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
৭৬৬ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলন
সিরাজগঞ্জে এখন পুরোদমে শুরু হয়েছে মৌসুমি রোপা আমন ধান কাটা। এরইমধ্যে হাট বাজারে উঠেছে এ নতুন ধান। রোপা আমন চাষে বাম্পার ফলনসহ এখন বাজারমূল্য ভাল থাকায় কৃষকের মুখে হাসিও ফুটেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে এ ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কৃষকরা এ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি রোপা আমনের চাষাবাদ করেছে। তবে শস্যভান্ডার খ্যাত চলনবিল এলাকার জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ছাড়াও রায়গঞ্জ, কামাখন্দ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ধান সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ করা হয়েছে।
দফায় দফায় চলা বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর থেকেই কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করে ধানের বীজ বপন করে। এরপর রোপন উপযোগী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকেই এ ধানের চারা জমিতে রোপন শুরু করে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও অখুশি কৃষকরা
চলতি মৌসুমে ব্রি ধান-৯০, ৭৫, ৮৭, ৪৯, বিনা ধান-১৭ ও হাইব্রিডসহ নানা জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষাবাদ করেছে কৃষকেরা। অনেক কৃষক আবার ব্যাংক ঋণ ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়েও এ চাষাবাদ করেছে।
এ মৌসুমে চাষাবাদে সার ও সেচসহ অন্যান্য খরচ বেশি হলেও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
যে দিকে তাকানো যায় সে দিকেই মাঠ ভরা সোনালী ধান কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে মন ভরে যায়। বিশেষ করে গত সপ্তাহের প্রথম থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে এ ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এ ধান কেনা-বেচা শুরু হয়েছে এবং অনেক ব্যবসায়ী ধান এখন কেনাও শুরু করেছে। বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ ধান গড়ে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় আদর্শ কৃষকরা বলেছেন, এই ধান চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং এখন বাজারমূল্য ভাল পাওয়া যাচ্ছে। তাই চাষাবাদ, কাটা ও মাড়াই খরচ বাদেও ভালো লাভ থাকছে। এছাড়াও ধানের খড়ের দামও অনেক পাওয়া যায়। ইতোমধ্যেই খড় ব্যবসায়ীরা হাট বাজারসহ গ্রামগঞ্জেও ঘুরে এ খড় ক্রয় করতে শুরু করেছে।
এ সবমিলে চলতি আমন মৌসুমে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের যথাসময়ে পরার্মশ দেয়া হয়েছিল। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকেরা এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ে। বিশেষ করে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ ধান চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।
ইতোমধ্যেই জেলায় চাষাবাদের প্রায় অর্ধেক জমির ধান কাটা হয়ে গেছে এবং দুই থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা পুরোপুরিভাবে শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
সিরাজগঞ্জে গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি
৮৪৯ দিন আগে
দেশজুড়ে বাড়ছে কক্সবাজারের সুপারির কদর, যাচ্ছে বিদেশেও
সারাদেশে বাড়ছে কক্সবাজারের সুপারির কদর। আর এবারে কক্সবাজারে সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই সুপারির বাগান মালিকদের মুখে হাসিও ফুটেছে।
জেলার তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় এক কোটি ২৭ লাথ ৫০ হাজারটি গাছে ১২ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন সুপারি উৎপাদিত হয়েছে।
প্রতি টন সুপারি বিক্রি হয় দুই লাখ টাকায়। সর্বমোট যার দাম ২৪৫ কোটি টাকা।
এরমধ্যে সব চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায়।
কক্সবাজার জেলা কৃষি অফিসার কবির হোসেন জানান, জেলার উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় দুই হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ হয়।
আরও পড়ুন: অল ওয়েদার রোডে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সুপারিশ
৮৬২ দিন আগে
বাম্পার ফলনের আশা সোনারগাঁও লিচু চাষিদের
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার লিচু বাগান মালিকরা গত দুই বছর করোনাভাইরাস ও লিচু মৌসুমে রমজান মাস থাকায় লিচুর ফলন হলেও বিক্রি করে তেমন লাভবান হতে পারেননি। তবে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে সোনারগাঁয়ে।
স্থানীয়রা জানান, লিচু ফল সুস্বাদু বিধায় এক সময় সোনারগাঁয়ে প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুর পাড় ও পতিত জমিতে শখের বসে লিচু গাছ লাগাতেন মানুষ। সেই লিচু পাকলে তারা নিজেরা ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে পাঠাতেন বাকিগুলো পশুপাখিরা খেতো। এখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে মৌসুমী ফল লিচু সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল হওয়ার কারণে লিচুর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে।
এছাড়া সোনারগাঁয়ের লিচু দেশের জেলার অন্য এলাকার তুলনায় আগে বাজারে আসায় ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় এখন বাণিজ্যিকভাবে সোনারগাঁয়ে লিচুর বাগানের চাষ করা হয়।
সোনারগাঁয়ে তিন জাতের লিচু উৎপাদন হয়। (কদমি) চায়না থ্রি, কদমি ও পাতি লিচু। এক সময় ব্যাপক হারে পাতি লিচুর বাগান ছিল। পাতি লিচুর গাছগুলোও অনেক বড় হতো। আর গাছে চারদিকে ঝুলে থাকতো থোকায় থোকায় লাল রংঙ্গের পাকা লিচু। পাতি লিচুর তুলনায় চায়না থ্রি (কদমি) লিচুর সাইজ একটু বড় ও রসালো বিধায় এখন সোনারগাঁয়ে ব্যাপক হারে কদমি লিচুর বাগান করা হচ্ছে। কদমি লিচু গাছ পাতি লিচুর তুলনায় ছোট হওয়ার কারণে এক বিঘা জমিতে ৫০-৬০টি কদমি লিচু গাছ লাগানো যায়। পরিপক্ক একটি কদমি লিচু বাগান বছরে প্রায় বিঘা ৫ লাখ টাকার উপর অর্থ উপার্জন হয়। সে জন্য আগের চেয়ে দিনে দিনে সোনারগাঁয়ে লিচু বাগানের সংখ্যা ক্রমই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী গ্রামের লিচুর বাগানের মালিক আলমগীর জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর সব বাগানেই লিচুর ফলন অনেক হয়েছে। গত বছর যে বাগান এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার আশা করা যায় সেই বাগান বিক্রি হবে দুই লাখ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারবো।
তিনি বলেন, ‘প্রচন্ড রোদের কারণে এবার লিচু বেশি ফোলেনি।’ তবে সোনারগাঁয়ের লিচু স্বাদে ভালো হওয়ায় প্রতি বছরই বাজারে এর কদর থাকে।
পড়ুন: আগাম আম পেড়ে বিপাকে সাতক্ষীরার চাষিরা
লিচু বাগানের ক্রেতা আব্দুল জলিল বলেন, এবার অন্যবারের তুলনায় লিচু ফলন ভালো হয়েছে। তবে অনাবৃষ্টি ও রোদের কারণে লিচু ফোলেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সোনারগাঁয়ের লিচু দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারা নিতে আসছেন। এই লিচু আগে আসে বলে দাম কিছুটা বেশি।’
সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আকতার জানান, এবছর লিচুর ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। শিলা বৃষ্টি ও ঝড়-তুফান কম হলে লিচুর দাম ভালো পাবেন কৃষকরা। লিচুর আবাদ আরও বাড়ানোর জন্য কৃষি অফিস কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিন জন উপসহকারী বাগান মালিকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। লিচুর মুকুল আসার পর পরই গাছের গোড়ায় পানি দেয়াসহ বাগানে কীটপতঙ্গ, মাকড়সা দূর করার জন্য বালাইনাশক স্প্রে করা সহ গাছ ও মুকুলের যত্ন নেয়ার বিষয়ে গাছ মালিকদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী, জনবল নিয়ে লিচুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাঠে কাজ করছেন।
তিনি আরও জানান, সোনারগাঁয়ে প্রায় একশ’ একর জমিতে প্রায় দুই শতাধিক বাগানে লিচুর আবাদ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে সোনারগাঁয়ে লিচু চাষ বাড়াতে লিচু চাষিদের নিয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও খুলনার চাষিরা হতাশ
১০৪৪ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো ধানের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। ধান গাছে শীষ ফুটতে শুরু করেছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। আর সেই সাথে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ দেখে কৃষকের চোখে মুখে এখন আনন্দ। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে এবার বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলের মাঠে ঘুরে দেখা যায়, বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের খেতে উঁকি দিচ্ছে শীষ। কৃষকরা ব্যস্ত ধান ক্ষেতের পরিচর্যায়। কেউ কেউ ব্যস্ত জমিতে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগে, আবার কেউ কেউ ব্যস্ত আগাছা পরিষ্কারে।
কৃষকরা জানায়, এবার আবাদ মৌসুমের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকূলে, বীজ, সার, সেচের কোন সমস্যা নেই। জমিতে এখন পর্যন্ত রোগ বালাই বা পোকা মাকড়ের তেমন বড় ধরনের সমস্যা হয়নি। দু’য়েক বার কীটনাশক প্রয়োগের ফলে তা সেরে গেছে। বোরো ধানের পরিস্থিতি ভালো। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষকদের।
সদর উপজেলার আতাহার এলাকার বোরো চাষি আকবর আলী বলেন, এবার আমার ১০ বিঘা জমিতে বোরো আছে। এখন শীষ ফুটছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার পোকামাকড়, রোগ বালাই তেমনভাবে নেই। এবার সবকিছু ভালোই আছে। এমন থাকলে ফলন ভালো হবে।
পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঝুঁকিতে বোরো ফসল, আতঙ্কে কৃষক
অনেক জমিতে শীষ আসছে আবার অনেক জমিতে শীষ পুরোপুরি ফুটে গেছে।
একই এলাকার আরেক চাষি জাহাঙ্গীর জানান, এবার তিনি ৬ বিঘায় বোরো ধান চাষ করেছেন। এখন ধানের অবস্থা ভালো। শীষ আসতে শুরু করেছে। সার-সেচের সমস্যা নেই। বৈশাখ মাসের মাঝামঝিতে ধান কাটা শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি বালা মসিবত না দেয় তাহলে এবার বাস্পার ফলন হবে। ২৫-২৬ মন বিঘায় ফলন পাওয়া যাবে। বর্তমানে ধানের বাজার দর ভালো আছে। ১৩’শ-১৪’শ টাকা মন দও চলছে। এমন বাজার দর থাকলে কৃষকরা লাভবান হবে।’
নাচোল এলাকার চাষি সামাদ আলী জানান, মাঠের অবস্থা ভালো। আশা করি ভালো ফলন পাব।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪৯ হাজার ৪০০ হেক্টর। কিন্তু লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫১ জাহার ২৪০ হেক্টর।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের লোক কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে, শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার বোরোর ভালো ফলন হবে আশা করা হচ্ছে।
পড়ুন: থমকে আছে দর্শনা-দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর প্রকল্প
১০৭৩ দিন আগে