তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যম কর্মীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি রাজধানীর বিএমএ ভবনে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম। অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
কাজী জেবুন্নেসা বেগম বলেন, তামাকের মতো ক্ষতিকর নেশা নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এখানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সুতরাং, তামাকের বিরুদ্ধে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তামাক বিরোধী প্রচারণায় নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে গণমাধ্যমগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়া উচিৎ।
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, ধূমপান বিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই গণমাধ্যম অত্যন্ত সক্রিয়। গণমাধ্যমের সহায়তায় তামাক বিরোধী আন্দোলন আশাব্যঞ্জক অবস্থানে এসেছে। মানস কর্তৃক এই আয়োজন উপস্থিত সংবাদকর্মীদেরকে তামাকের বিরুদ্ধে লিখতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, তামাক স্বাস্থ্য খাতসহ সার্বিকভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে বিধায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন, এজন্যই আমরা স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করতে পেরেছি। সুতরাং, আমরা তার নেতৃত্বে গণমাধ্যমকে সাথে নিয়ে দেশ থেকে তামাক নির্মূল করতে পারবো বলে আশাবাদী।
অনুষ্ঠানে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’র প্রোগ্রাম অফিসার আমিনুল ইসলাম সুজন। তামাক কোম্পানির কূট-কৌশল ও তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একাত্তর টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা। মানস এর প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক) অংশগ্রহণ করেন।