রবিবার বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ইউএনবিকে বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়াও, আমরা এর ডেটা প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছি এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি।’
‘আগামী ১৬ জুনের মধ্যে কার্যকারিতা পরীক্ষার প্রতিবেদন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দেয়া হবে বলে আশা করছি,’ যোগ করেন তিনি।
অধ্যাপক কনক বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসাম তাকে জানিয়েছেন যে তারা দু-একদিনের মধ্যে প্রতিবেদনটি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস-পরীক্ষার অ্যান্টিজেন কিট তুলে নেয়ায় এ কিট নিয়ে বিএসএমএমইউ কোনও প্রতিবেদন তৈরি করবে না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অ্যান্টিজেন কিটের পারফরম্যান্স ট্রায়েলের জন্য পুনরায় তাদের কিটের নমুনা জমা দিলে তা পরীক্ষা করা হবে কীনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘তাদের এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা খুব কম।’
’গত২০ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের কিট জমা দিয়েছিল এবং পরে ২ জুন তা আবার প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না,’ যোগ করেন তিনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তথ্যমতে, এর অ্যান্টিবডি কিট দিয়ে মানুষ অতীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা এবং তাদের দেহে অ্যান্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা উপস্থিতি আছে কিনা তা শনাক্ত করতে সহাযয়তা করবে। যারা সেরে উঠেছেন তাদের প্লাজমা সংগ্রহ করতেও এ কিট সহায়তা করবে।
গত ২ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতিতে কিছু অসঙ্গতি শনাক্ত হওয়ার কারণে এর করোনাভাইরাস-পরীক্ষার অ্যান্টিজেন কিটের কর্যক্ষমতা পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।