রুলে কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তৌফিকুল ইসলামের করা এক আবেদনে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
আদালতের আবেদনকারীরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনসুরুল হক চৌধুরী, আছরারুল হক ও মো. আমিনুর রহমান চৌধুরী।
২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৩ নং কামারদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়লাভ করেন মো. তৌফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ সময় পরেও তার নামে গেজেট প্রকাশ না করায় ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। এ রিট আবদেনে ওই বছরের ২৯ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেয়।
রায়ে গেজেট প্রকাশ করে তার শপথের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী সৈয়দ শরীফুল ইসলাম। আপিল বিভাগ তার আবেদন খারিজ করে দেয়। এরই মধ্যে তৌফিকুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ২০১৮ সালের ৩ জুলাই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে শপথ পড়াতে নির্দেশ দেয়।
ইসি ও হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও শপথ না পড়ানোয় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে আবেদন করেন তৌফিকুল ইসলাম।