গোপালগঞ্জে আলী আকবর হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈরের মজুমদারকান্দি গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (৩৬) ও একই গ্রামের মান্নান ফরাজির ছেলে নুরু ফরাজি (৩৮)। তারা দুজনেই বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
নিহত আলী আকবর কোটালীপাড়ার বাগান উত্তরপাড় গ্রামের কাদের শেখের ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করতেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় মামলার দুই আসামি কোটালীপাড়ার মহুয়া সিনেমা হলের সামনে থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট যাওয়ার উদ্দ্যেশে নিহত আকবরের মোটরসাইকেল ভাড়া করে।
আলী আকবর ভাড়া নিয়ে গেলে ছোট ভাই আলী আহম্মদ তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলী আহম্মেদের মোবাইল ফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়না।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পরের দিন সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নের বাজুনিয়া–গান্দিয়াসুর সড়কের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নিহতের পরিবারের লোক এসে আলী আকবরকে শনাক্ত করেন। ওই দিনেই নিহতের ছোট ভাই আলী আহম্মেদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কোটালিপাড়া থানায় মামলা করেন।
কোটালীপাড়া থানা পুলিশ মামলা তদন্ত করে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ শুনানির পর রবিবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অভিযঙুক্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি কৌসুঁলী অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু জানান, এই হত্যাকাণ্ডের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।