বুধবার ভোর রাতে পূর্ব রাউজনের ঘোড়া সামছু টিলা এলাকায় চালানো এ অভিযানে ডাকাত দলের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ‘ডাকাত সর্দার’ ও হত্যাসহ ১৭ মামলার আসামি আলমগীর আলম প্রকাশ ওরফে আলমগীর ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের ভাষ্য, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পূর্ব রাউজানের রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া সামছু টিলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে দুস্কৃতকারীরা। আত্নরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলমগীর নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ১০টি শর্টগান, গ্যাস গান সদৃশ একটি অস্ত্র, ৬টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, একটি পুরাতন ম্যাগজিন, ৭টি কার্তুজ, ৭টি কার্তুজের খোসা, দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুকের তিনটি অংশসহ অস্ত্র তৈরির আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আহত ওসি কেপায়েত উল্লাহ বলেন, ‘পূর্ব রাউজানের দুগর্ম অঞ্চলে আস্তানা গড়ে তুলেছিল ডাকাত দল। মাত্র তিন মাস আগে আলমগীর জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে অভিযান চালানো হয় সেখানে তারা দেশীয় অস্ত্র তৈরি করতো বলে প্রমাণ মিলেছে।’
পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া আলমগীর রাউজানের শীর্ষ সন্ত্রাসী বিধান বড়ুয়া ও ক্রসফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী জানে আলমের সহযোগী। তার নামে রাউজান থানায় ৫টি ডাকাতি, ২টি হত্যা ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ১৭টি মামলা রয়েছে।