কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় টানা ২৩ দিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। দীর্ঘ বিরতির পর বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে পুরোদমে সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে শুরু হয় মালবাহী ট্রেন চলাচল এবং পরদিন মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম সব ধরনের ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ১১ দিন পর খুলনা-বেনাপোল-মোংলা কমিউটার ট্রেন চালু
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৮টায় ছেড়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। দিনের সূচি অনুযায়ী অন্যান্য ট্রেনগুলো চলাচল করবে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দুপুর ১২টার দিকে হাটহাজারী ও দোহাজারীর উদ্দেশ্য দুটি মালবাহী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ১৬ জুলাই ঢাকা, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী ও ময়মনসিংহ, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরদিন ট্রেন চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই সরকারের কারফিউ জারি করার পর থেকে সারাদেশে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। পরে ৪ আগস্ট রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার থেকে কন্টেইনার ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। বুধবার থেকে চলে মেইল, লোকাল, কমিউটার ও বৃহস্পতিবার শুরু হয় সব আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন: এক মাস পর চালু হলো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল