রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২০ নম্বর কক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট আইসোলেশন সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। তারা তিনদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো ৬ জন হলেন- ব্রাক্ষণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার ইতালি ফেরত দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ, সিরাজাম মুনির দুর্জয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের (কুমেক) শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম ও ইব্রাহিম খলিল।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই কক্ষে চবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শাহনেওয়াজ রানা ও একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের জয় থাকতেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬,৫১৬
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবির পলাশ বলেন, ইতালি ফেরত এক প্রবাসীসহ বহিরাগতদের হলে অবস্থানের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের যাচাই করা হবে। আর যে শিক্ষার্থী তাদের হলে এনেছে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, গত ৫ মার্চ ইতালি থেকে ফেরেন দস্তগীর হোসাইন মাহফুজ নামে ওই যুবক। বিমানবন্দরের কোনো চেকআপ না করিয়ে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। তার সাথে আসেন নিজ এলাকার বন্ধুরা। তারা রাঙামাটির সাজেক ভ্রমণের জন্যই মূলত এখানে এসেছিল। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুর রব হলের ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন তারা।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সকলকে সতর্ক ও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।