বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএমসেনগুপ্ত রোডের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ ৫১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে সাবেক এমপি জাহিরসহ ২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ জুলাই রাত ৮টায় ডা. দীপু মনি ও তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর প্রত্যক্ষ নির্দেশে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএম সেনগুপ্ত রোডের মনিরা ভবনে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ লোক দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। পরে তারা ওই ভবনে আগুন দিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে মামলা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ইউএনবিকে বলেন, ‘ঘটনার সময়ে মুনিরা ভবনের মালিক আমি (জেলা বিএনপির সভাপতি) চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। এখন সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পেতেই থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। এছাড়া আমি কখনো কারো সঙ্গে অমানবিক আচরণ করিনি। অথচ শুধু রাজনীতির কারণে প্রতিহিংসাবশত আমার বাড়ির ওপর এই অঘটন ঘটেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ‘শহরের বাগাদী রোড হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আ. রাজ্জাক হাওলাদার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এজহারভুক্ত নামীয় আসামি হলেন ৫১০ জন এবং অজ্ঞাতনামা আসামি ১ হাজার ২০০ জন। মামলাটির আইনী কার্যক্রম চলছে। একইসঙ্গে নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, তদন্তে পিবিআই