চাঁদপুর-লাকসম রেলপথের মৈশাদী বাজার এলাকায় তিনশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম থেকে আসা টিম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় টিনের তৈরি, পাকা ও সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
রেল কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে রেলপথের চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আগামী দুই মাস এই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের
মৈশাদী অবৈধ দখলে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, তারা বুধবার সকালে জানতে পারেন বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান হবে। এ মর্মে রেলওয়ে বিভাগের মাইকিং করার পর নিশ্চিত হন। সময় খুবই কম হওয়ায় তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে পারেননি।
তারা তাদেরকে আরও আগে নোটিশ না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের সম্পত্তিতে এমন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান এই প্রথম হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা আরও জানান, তিনশ’ ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান আমাদের পূর্বের কর্মসূচি। আগামী দুই মাস এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে অবৈধ স্থাপনা সেখানে চলবে উচ্ছেদ। শুক্রবার থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী রেলওয়ে স্টেশন ও তার আশপাশ এলাকায় প্রায় তিনশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছি।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে টিনসেড ও সেমিপাকা স্থাপনা ছিল। এসব স্থাপনায় প্রায় পাঁচশ’ লোক অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলো।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (কার্য) আতিকুর রহমান আখন্দ, রেলওয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ, কানুনগো লাকসাম মো. কাউছার হামিদ, সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলমসহ চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী: খাস জমিতে সাবেক এমপির বাসভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ