অবৈধ স্থাপনা
মুন্সীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় হামলায় আহত ৭, শ্রমিক গুলিবিদ্ধ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার গোমতী নদী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) স্টাফদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ফাঁকা গুলিতে শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে গোমতী নদী তীরে চরচাষিতে প্যাসিফিক ডেনিমসের দখল করা জমিতে অভিযানের সময় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের শ্রমিক। পরে তাকে ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কারখানাটির জেনারেল ম্যানেজার ইউনুস আলী।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গোমতী নদী তীরের চরচাষিতে প্যাসিফিক ডেনিমস লিমিটেডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চালানোর সময় লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালায় কারখানাটির লোকজন।
আকস্মিক হামলায় আনসার সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএ’র স্টাফসহ চারজন আহত হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই সময় কারখানাটির শ্রমিক ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হন।
বিআইডব্লিউটিএ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ জানান, মেঘনা-গোমতী তীরের তোলা ফকির নিটওয়্যার লিমিটেডের প্রায় তিন হাজার ফুট পাকা সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও নদী তীরের নানা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে স্থানীয়রাও খুশি।
আরও পড়ুন: কম উপস্থিতিতে চলছে ভোট গ্রহণ, মুন্সীগঞ্জে নিহত ১
বিআইডব্লিউটিএর মেঘনা ঘাট নদী বন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, নদী রক্ষায় বিধি মোতাবেকই অভিযান পরিচালিত হয়। গজারিয়ায় বসুরচর লঞ্চঘাট এলাকা ও মেঘনা-গোমতী নদীর পাড় ঘেষে চরচাষির এই অভিযানে ১০০ বিঘা জমি দখলমুক্ত হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব খান জানান, শ্রমিক ইসমাইলের গুলি লাগার বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুনেছিলাম মাথা কেটে গেছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় পুলিশ ১৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি এবং একটি গ্যাস সেল ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
১১ মাস আগে
খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
মোহাম্মদপুরের লাউতলা-রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ১৫ দিনের মধ্যে সরাতে সময় সীমা বেধে দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
মেয়র বলেন, খালের সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসানো হয়েছে। যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে খালের পাড়ে এই সীমানার বাইরেও তারা অবৈধভাবে স্থাপনা করছে। তাদেরকে আমি বলেছি খালের পারের অবৈধ স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে আপনারা সরিয়ে নিবেন।
তিনি বলেন, নিজেরা অবৈধ স্থাপনা না সরালে আমরা বুলডোজার দিয়ে সেই স্থাপনা ভেঙ্গে দিব। আজকে আমরা ভাঙতাম যেহেতু ওনারা বলেছে ভিতরে প্রচুর পশু রয়েছে এ পশুদের সরানো চ্যালেঞ্জিং হবে। পশুগুলোও আমাদের সম্পদ তাই এর ক্ষতি করা ঠিক হবে না। আমি তাদেরকে ১৫ দিন সময় দিয়েছি। এর পরে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিব।
তিনি বলেন, ৩৩ নং ওয়ার্ডে প্রচুর গরুর খামারী ব্যবসা করছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো খামারগুলোর গো-বর্জ্যসহ অন্যান্য সকল বর্জ্য খালে ফেলা হচ্ছে। আপনার দেখেছেন খালটি উদ্ধারের পর আমি গত বছর এই রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। এটি আবার গো-বর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্য দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। ওনারা মনে করেছেন এরকম ভাবেই চলবে। আমার মনে হয় যারা ব্যবসা করবেন তারা অবশ্যই পরিবেশকে মাথায় রেখে ব্যবসা করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, দয়াল হাউজিং এলাকায় কয়েকটি খামার পরিদর্শন করেন।
খামারের সকল বর্জ্য খালে ফেলে পানি দূষণ ও পরিবেশের ক্ষতি করায় একটি খামারকে মেয়রের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, রাজধানীর বায়ুদূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ঢাকার আশপাশের ইটভাটা। গবেষণা অনুসারে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা ৫৮ শতাংশ দায়ী।
এছাড়া সড়ক ও মাটি থেকে সৃষ্ট ধুলা দ্বারা ১৮ শতাংশ, যানবাহনের জন্য ১০ শতাংশ, বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোর জন্য ৮ শতাংশ ও অন্যান্য কারণে ৬ শতাংশ বায়ু দূষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধুলাবালি নিবারণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে। দুটি স্প্রে ক্যানন ডিএনসিসি এলাকার মহাসড়কে পানি ছিটানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন পুরো এলাকার মহাসড়ককে দুটি ভাগে ভাগ করে একদিন অন্তর অন্তর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দু’টি মেশিন দিয়ে পানি ছিটানো হচ্ছে।
পরিদর্শন শেষে ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সুযোগ-সুবিধার কথা ও সমস্যা জানতে স্থানীয় জনগণকে নিয়ে বসিলা কমিউনিটি সেন্টারে একটি মতবিনিময় সভা করেন মেয়র।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাদেক খান, ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, অঞ্চল-০৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ, ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রোকসানা আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
১ বছর আগে
চাঁদপুরে রেললাইনের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চাঁদপুর-লাকসম রেলপথের মৈশাদী বাজার এলাকায় তিনশ’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম থেকে আসা টিম।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত রেলওয়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় টিনের তৈরি, পাকা ও সেমিপাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
রেল কর্মকর্তারা জানান, পর্যায়ক্রমে রেলপথের চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া আগামী দুই মাস এই উচ্ছেদ অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ ডিএসসিসি মেয়রের
মৈশাদী অবৈধ দখলে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, তারা বুধবার সকালে জানতে পারেন বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান হবে। এ মর্মে রেলওয়ে বিভাগের মাইকিং করার পর নিশ্চিত হন। সময় খুবই কম হওয়ায় তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে পারেননি।
তারা তাদেরকে আরও আগে নোটিশ না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রেলওয়ের সম্পত্তিতে এমন বড় ধরনের উচ্ছেদ অভিযান এই প্রথম হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা আরও জানান, তিনশ’ ব্যবসায়ী এখন পথে বসেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম ইউএনবিকে বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান আমাদের পূর্বের কর্মসূচি। আগামী দুই মাস এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে অবৈধ স্থাপনা সেখানে চলবে উচ্ছেদ। শুক্রবার থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী রেলওয়ে স্টেশন ও তার আশপাশ এলাকায় প্রায় তিনশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করেছি।’
তিনি বলেন, এর মধ্যে টিনসেড ও সেমিপাকা স্থাপনা ছিল। এসব স্থাপনায় প্রায় পাঁচশ’ লোক অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছিলো।
অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুচিত্র রঞ্জন দাস, উর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী এসএসএই (পথ) লিয়াকত আলী মজুমদার, এসএসএই (কার্য) আতিকুর রহমান আখন্দ, রেলওয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশিদ, কানুনগো লাকসাম মো. কাউছার হামিদ, সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ বাহার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ইনচার্জ মো. খোরশেদ আলমসহ চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালী: খাস জমিতে সাবেক এমপির বাসভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
ফরিদপুরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
২ বছর আগে
অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
কক্সবাজারের ঝিলনজা, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টসহ সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মামুনুর রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ১৯ অক্টোবর সশরীরে হাজির হয়ে আদালতের আদেশ অমান্যের বিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ডিসিহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন। রুলে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়েছে তারা হয়েছে-কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার এক আদালত অবমাননার মামলার শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত অবমাননার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তুষার কান্তি রায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের ডিসি-এসপি’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ৭ জুন হাইকোর্ট সমুদ্র সৈকতের অবৈধ স্থাপনা তৈরি বন্ধ ও স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে আদেশ দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ওই রায় দিলেও এতদিনেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় আদালত অবমাননার অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মনজিল মোরশেদ আদালত অবমাননার নোটিশ দেন।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ, উপপরিচালক, টাউন প্লানার তানভির হাসান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনর রশিদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান বরাবর এ নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন:কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো জীবিত ডলফিন
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
২ বছর আগে
রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীতে অবৈধভাবে দখল হওয়া সমস্ত খালগুলোকে উদ্ধার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।উদ্ধারকৃত খালসমূহ সংস্কার করা হলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগর উপহার দেয়া সম্ভব হবে বলেও জানান মন্ত্রী।মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় রামচন্দ্রপুর খালের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, যারা সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন তারা স্বাভাবিক ভাবেই এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর ফলে সব জায়গায় একটি মেসেজ চলে যাবে যে অবৈধভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে রেহাই পাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীতিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র এখানকার খাল উদ্ধার হবে আর অন্যগুলো হবে না এমনটা ভাবা উচিত হবে না। ঢাকা শহরের যত জায়গা দখল করে অবৈধ নির্মাণ করেছেন বা করার পাঁয়তারা করছেন তারা সতর্ক হবেন। কোনো দখলবাজদের বরদাস্ত করা হবে না। জনগণের কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সবকিছু করবে সরকার।মো. তাজুল ইসলাম জানান, রাজধানীর সকল খালগুলোর একটির সঙ্গে অন্যটির সংযোগ তৈরি করে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে একাধিক সভা করে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিলে খাল উদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণ থাকে। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই রাজধানীর কিছু খাল ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দুই সিটি করপোরেশন জোরালো অভিযান চালিয়ে খাল উদ্ধার কাজ শুরু করেছে যার ফলাফল এখন দৃশ্যমান।
আরও পড়ুন: এক মাসের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীমো. তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরে এখনও ৫৩ টি খালের অস্তিত্ব রয়েছে। এসব খাল উদ্ধার করে যদি নৌ চলাচল ও দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন করা যায় তাহলে মানুষ ভেনিস ঘুরতে না গিয়ে ঢাকা শহরে আসবে।রাজধানীর অন্যান্য খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াটার বোর্ডের অধীনে থাকা খালগুলো হস্তান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া হয়েছে। এছাড়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন থাকা খালগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২ বছর আগে
বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার অভিযান: চতুর্থ দিনে ৬৬ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
চতুর্থ দিনের মতো ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিইটিএ। বুধবার সকাল ১১টা থেকে শুরু করে দিনভর কামরাঙ্গীরচর মৌজার লালবাগ থানায় এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
এ উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওবায়দুল্লাহ জানান, চতুর্থ দিনে একটি মার্কেট, একটি আধাপাকা কারখানা ও ছোট-বড় ৪৫টি দোকানসহ ৬৬ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর পাড় ঘেষে থাকা অবৈধ দখলের হাত থেকে এক একর (১০০ শতাংশ ) সরকারি জমি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্বে ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন,পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিদল ও বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ কমিটি।
বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ কমিটি জানায়, এ পর্বে আগামী ২জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ছয়দিন ব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে বুড়িগঙ্গা নদীর মানচিত্র ধরে নদীর আদি চ্যানেলসহ দু’পাড়ের যে সকল অবৈধ স্থাপনা থাকবে সেগুলি পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: কেরানীগঞ্জ থেকে এক মালিক গ্রেপ্তার
ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কেরানীগঞ্জের মসজিদ
কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড
২ বছর আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রামপুর বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। বাজারের প্রায় ১৫০টি হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করা হয়েছে।
সহকরী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভূমি অফিস সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রামপুর বাজারে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত এক একর ৫৫ শতাংশ জমিতে ১৫০টি কাঁচা-পাকা হোটেল ও দোকান ঘর সরকারি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয়। এসব দোকান মালিকরা রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: লালদিয়ার চরের ১০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ সোমবার
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে পর পর তিনবার নোটিশ পাঠালেও দোকানদাররা তাদের হোটেল ও দোকান ঘর অপসারণ করেননি। এ প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রীতম সাহা বলেন, অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য এর আগে লিখিত নোটিশ দেয়া হয়েছে। তার পরেও তারা এব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। তাই আইনগতভাবে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় উচ্ছেদ অভিযানে ৮ জনকে জরিমানা
তিনি জানান, পরবর্তীতে এই বাজারটিকে চান্দিনা ভিটি এবং তোহা বাজার হিসেবে দুটি অংশে সাজানো হবে এবং যারা প্রকৃত দোকানদার তাদের ঘরের জমি বরাদ্দের জন্য সুপারিশ পাঠানো হবে।
উচ্ছেদ অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জাহিরুল ইসলাম, ভূমি অফিসের কর্মচারী ও থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গা তীরে হাজী সেলিমের পেট্রল পাম্পসহ ২৬৫ স্থাপনা উচ্ছেদ
৩ বছর আগে
সময় হয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার: ডিএনসিসি মেয়র
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়ার এখন সময় হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ঢাকা শহর উপহার দেয়ার জন্য, নাগরিকদের সুবিধা দেয়ার জন্য, যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে।
৩ বছর আগে
খাল দখলদার কেউ ছাড় পাবে না: ডিএনসিসি মেয়র
যত প্রভাবশালী হোক না কেন রাজধানীর বিভিন্ন খালের দুই পাড় দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা দখলদাররা কেউ ছাড় পাবে না বলে সোমবার জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
৩ বছর আগে
ধানমন্ডিতে পুলিশ বক্সসহ ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, জরিমানা
রাজধানীর ধানমন্ডি লেক ও ডেমরার বামৈল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বক্সসহ ২০টিরও অধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৪ বছর আগে