প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবায় দেশ এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি করেছে। ডাক্তাররা এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ অনেক জটিল অপারেশন করতে সক্ষম।’
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকসই গণতন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যে চিকিৎসকরা সম্প্রতি ব্রেন-ডেড রোগী সারা ইসলামের প্রথম সফল অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন, তারাও সারার মায়ের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শামীমা আক্তার ও শবনম সুলতানা, যারা সফলভাবে সারার দান করা কিডনি গ্রহণ করেছেন।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ১৯ জানুয়ারি সফল কিডনি প্রতিস্থাপন করেন।
এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডাভেরিক কিডনি প্রতিস্থাপন।
গত ১৮ জানুয়ারি বিকালে ২০ বছর বয়সী সারা ইসলামকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর তার মায়ের সম্মতিতে তার দেওয়া দুটি কিডনি সফলভাবে দুজন রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।
দেশে ১৯৮২ সালে জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিক্যালি ডেড রোগীর কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার উপর আইনগত বাধ্যবাধকতা ছিল।
আরও পড়ুন: সকল গৃহহীন মানুষের ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি স্থাপন গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা: প্রধানমন্ত্রী