১০ বছর পর আবারও রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা গেল চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে এই জেলার তাপমাত্রা। আবার গত ১০ বছর পর ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলো চুয়াডাঙ্গায়।
বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা সন্ধ্যার মধ্যে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় বাতাসের আর্দ্রতা ১৩ শতাংশ।
এর মধ্যে গত ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতে কালবৈশাখীর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি হলেও কমেনি তাপমাত্রা। বরং বেড়ে গিয়ে ১০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
এপ্রিলের শুরু থেকেই ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝামাঝি তাপমাত্রা রেকর্ড হলেও মাসের মাঝামাঝি থেকে ৪০-৪২ ডিগ্রি পার করেছে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বইছে জেলাটিতে।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে এ জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ১০ বছর পর আবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলো।
তিনি আরও জানান, আগামী দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, যশোর ও রাজশাহী জেলায় অত্যধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং খুলনা বিভাগ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নওগাঁ, পাবনা ও নীলফামারী জেলার কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে।
বরিশাল বিভাগ, ঢাকা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু অংশ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এর আগে রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।