বৃহস্পতিবার রাতে শহরের জ্বিনতলা মল্লিক পাড়া এলাকায় রাহেলা খাতুন গার্লস স্কুলের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আহত শোয়েব রিগান শহরের মাঝের পাড়ার আজম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রিগান বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোটর সাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাহেলা খাতুন গার্লস স্কুলের সামনে পৌঁছালে ৫/৬ জনের একটি দল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিগানকে কুপিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্ত দলটি।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান জানান, ধারালো চাপাতি দিয়ে কোপানোর ফলে রিগানের দুই পা ও বাম হাতসহ শরীরের অন্তত ৪০টি স্থান ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। বিশেষ করে দুই পা ও বাম হাতে অসংখ্য কোপ দেওয়া হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে রিগানকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
পরে রাতেই অ্যাম্বুলেন্সে করে রিগানকে ঢাকায় নেয়া হয়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব রিগানের ওপর হামলার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা হাসপাতালে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. কলিমুল্লাহ বলেন, এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।