নিহতদের মধ্যে ৪৭ নারী ও ২১ শিশু রয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।
এসসিআরএফ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও চার শিশুসহ ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং আটজন আহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৪৩ জন ও ২২ জন। নিহতের তালিকায় ১০ নারী ও চার শিশু রয়েছে।
মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ছয় নারী ও চার শিশুসহ ৩৮ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। এপ্রিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। এতে ২৬ জন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার নারী ও তিন শিশু রয়েছে।
মে মাসে ৩০টি দুর্ঘটনায় আট নারী ও তিন শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন তিনজন। জুনে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯। এতে ৩৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও তিন।
এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, গত ছয় মাসে সড়কের তুলনায় রেলপথে দুর্ঘটনার হার খুবই কম।
তাদের পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেলপথ পারাপার, রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব, রেলপথ ক্রসিংগুলোর (সড়ক ও রেলপথের সংযোগ স্থল) কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, কিছুসংখ্যক রেলসেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করা এবং দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর চালকদের অসতর্কতা।