জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একজন জেলা জজের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটিকে অনুসন্ধান করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে বাকি দুই জন সদস্য হলেন-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয় এমন একজন চিকিৎসক এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার একজন আইন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঋণখেলাপির আইনি অধিকার থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও কামরুল ইসলাম মোল্লার বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, চিকিৎসার অবহেলার ক্ষেত্রে একটি আইনগত কাঠামো তৈরির নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং এই মৃত্যুও ঘটনায় বাবলির পরিবারকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না। রিট আবেদনটির ফাইলিং লইয়ার ব্যারিস্টার মনজুর নাহিদ আদেশ ও রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রিট আবেদনটির ওপর শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাঈদা নাসরিন বাবলীর পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তান ইউজারসিফ মাহমুদ বর্ণভ বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। সাঈদা নাসরিন বাবলী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রংপুরে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ
জানা গেছে, গত ২০ জুন সাঈদা নাসরিন বাবলী (৩৫) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ২১ জুন থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৭ জুলাই তিনি মারা যান। বাবলীর এই মৃত্যুতে স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের অবহেলার অভিযোগ এনে ১২ অক্টোবর হাইকোর্টের রিটটি করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট এবং রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাবলী ৩২তম বিসিএসে এডুকেশন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন।