জব্দকৃত মালামাল থানা ও আদালত প্রাঙ্গণে কীভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে বা কীভাবে রাখা হয়েছে হয়েছে মঙ্গলবার তার বিস্তারিত প্রতিবেদন তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথ সংরক্ষণ না করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এছাড়া আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: একদিন পরেই এনামুল বাছিরের জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে ২৮ আগস্ট থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের জন্য নির্ধারিত স্থান মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে মালখানার যথাযথ ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবী।
রিটকারী পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস।
রিটের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকাসহ দেশের সব আদালত ও থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। এসব মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। একটা ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব