আইজিপি
পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি
গত ১৫ বছরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে মন্তব্য করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে রিফর্মের কাজ চলছে। পুলিশের কর্মস্পৃহা পুনরুদ্ধার করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে বিভাগের সকল ইউনিটের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘দলীয় স্বার্থ উদ্ধারে পুলিশ বড় ধরনের অপরাধ করেছে, এ জন্য আমরা লজ্জিত। পুলিশে যেন আর রাজনৈতিক কুপ্রভাবে না পড়ে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মামলার ক্ষেত্রে অসাধু ব্যক্তিরা সুবিধা নিয়েছেন। নিরীহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের গ্রেপ্তার হবে না। হয়রানি এড়াতে খোঁজ নিয়ে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৬ হাজার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ২ হাজার অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।’
এসব অস্ত্র উদ্ধারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান আইজিপি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, এসএমপি পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই-আগস্টে পুলিশের অনেকেই আইন ভঙ্গ করেছেন: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় পুলিশের কিছু সদস্য ভালো কাজ করেননি, আইনভঙ্গ করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পুলিশ অনেক বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টারসে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন 'যে সমস্ত পুলিশ জুলাই আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তারা পলিটিক্যালি ইনভলভ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ হত্যা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনো নিষ্ক্রিয় আছে। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য লুকানোর নজির আছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন 'এই সরকার তো স্বচ্ছ (ট্রান্সপারেন্ট)। এখন তো খুন, গুম এগুলো নেই যে আমরা লুকিয়ে রাখব। আগের সরকারের সময়ে যেটা হতো। এখন আমাদের লুকানোর কিছু নেই।'
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
তিনি বলেন, 'আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যতটুকু আছে ততটা দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি।
এত মানুষ মারা গেছে, এটা বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের কোথাও ঘটেনি।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, 'বাংলাদেশে পরিবর্তনের পর সঠিক জায়গায় সঠিক লোক দিতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়েছে অনেককে। আমরা গতকাল (৪ ডিসেম্বর) বিভাগ অনুযায়ী মেন্টরিং এবং মনিটরিং কমিটি গঠন করেছি। যারা তদন্ত করতে দক্ষ তাদেরকে আমরা সেসব জায়গায় দেব।’
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং পুলিশের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করেন।
আন্দোলনে আহত পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন 'যে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আর কাউকে ফিক্সড ডিপোজিট দেওয়া হয়েছে। যে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন, তাদের সঙ্গেও আমাদের এখান থেকে যোগাযোগ রাখা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যাপারে সহায়তা করা হয়েছে।'
সাবেক এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ যেসব শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন তাদের অবস্থান এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানান তিনি। তারা দেশে থাকলে খুব দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
মাঠপর্যায়ে পুলিশ সক্রিয় হওয়ার প্রশ্নে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলা না গেলেও দ্রুত সব কিছু পুনর্গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
২ সপ্তাহ আগে
নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বাহারুল আলম। বিদায়ী আইজিপি মো. মইনুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পুলিশ সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। সেখানে নতুন আইজিপিকে পুলিশের একটি দল গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানায়।
২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাহারুলকে নিয়োগ দেয়। তার চুক্তির মেয়াদ দুই বছর। তিনি ১৯৮৬ সালের ২১ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মজীবন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: নতুন আইজিপি বাহারুল আলম, ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী
এর আগে তিনি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান এবং পুলিশ সদর দপ্তরে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তার কর্মজীবন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সিনিয়র পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি আফগানিস্তানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া, কসোভো এবং সিয়েরা লিওনের মতো দেশে ফিল্ড মিশনে অংশ নেন।
২০২০ সালে সক্রিয় চাকরি থেকে অবসর নেন বাহারুল।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ১ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আইসিটির
১ মাস আগে
সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত ১ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ আইসিটির
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আট আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে জমা দিতে তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ নভেম্বর ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অবরপ্রাপ্ত) জিয়াউল আহসানও রয়েছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় নারীসহ দুজনের যাবজ্জীবন
তাজুল ইসলাম জানান, বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আট আসামিকে কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে সকালে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আট আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বুধবার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
তারা সবাই অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মোহাম্মদ শহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক ও গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
গত ২৭ অক্টোবর ১৪ আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে অসুস্থতার কারণে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজির করতে বলা হয়েছিল।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে আইসিটিতে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ ও হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, যা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে শুরু হয়েছিল। যা পরে একটি পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। যার ফলে প্রায় এক হাজার লোকের প্রাণহানি ও অনেকে আহত হয় এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর গ্রেপ্তার
১ মাস আগে
ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে গ্রেপ্তারে আইজিপিকে আইসিটির প্রধান কৌঁসুলির চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মইনুল ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান কৌঁসুলি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠিয়েছেন।
গত ১০ নভেম্বর আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম জানান, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জড়িত শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে শিগগিরই রেড নোটিশ জারি করা হবে।
তিনি বলেন, পলাতক ফ্যাসিবাদীর দোসররা বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই লোকদের বিচারের মুখোমুখি করার জন্য সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে।
আসিফ নজরুল অভিযোগ করেন, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি ইয়াহিয়া গ্রেপ্তার: র্যাব
১ মাস আগে
অপরাধ-সন্ত্রাস দমনে অভিযান জোরদারের আহ্বান আইজিপির
সন্ত্রাস, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক সংক্রান্ত অপরাধ, কিশোর গ্যাং ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে চলমান বিশেষ অভিযানে জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম।
সোমবার(২৮ অক্টোবর) এক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা রক্ষায় এসব অভিযানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
তিনি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহিংস ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হত্যা মামলার সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি শেখ আফিলসহ ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা, আটক ৫
আইজিপি বলেন, স্থায়ী ও অস্থায়ী উভয় ধরনের চেকপোস্টের সহায়তায় বেশি অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ১৫০টি চেকপোস্টের পাশাপাশি ৩০০টি মোটরসাইকেল টিম এবং ২৫০টি টহল টিম পরিচালনা করছে। গোয়েন্দা নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ টহলদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ২০০ ডাকাত ও চাঁদাবাজ, ১৬ জন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার ১৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া, অবৈধ অস্ত্রসহ ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদক সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলে যথেষ্ট পরিমাণে মাদকদ্রব্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
আইজিপি দলমত নির্বিশেষে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই জোরদার প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্রসফায়ারের ৮ বছর পর র্যাবের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে মামলা
১ মাস আগে
নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন, তাই তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের সমাবেশ করার অধিকার নেই। তারা সেই চেষ্টা করলে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শনিবার বিকেলে রংপুর জেলা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি ময়নুল ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
তিনি বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর তাকে বদলি করা হয়েছে। তার মানে এই নয় যে, তাকে শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বদলি বা ক্লোজডের বিষয়টি একটি প্রাথমিক প্রক্রিয়া।
ময়নুল ইসলাম বলেন, কতিপয় পুলিশ সদস্য জড়িত।
মামলাগুলোর তদন্ত চলমান। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
নেতৃত্ব পর্যায়ে গুটিকয়েক বিপথগামী অফিসারের কারণে পুলিশ তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, এবার জণগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পুলিশ তৈরি করতে চায় সরকার।
রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, প্রশাসন ও রাজনীতি একসঙ্গে মেলাবেন না।
যে পুলিশ রাজনীতি করতে চান, তারা দয়া করে চাকরি ছেড়ে চলে যান। আর যে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা পুলিশকে ব্যবহার করতে চান তারাও এটা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে পুলিশের যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার শুরু হয়েছে সেটা সম্ভব হবে।
আইজিপি বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টরা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে। ওই অস্ত্র তারা ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, এসব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা করতে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন আইজিপি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইজিপি ময়নুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
১ মাস আগে
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে পুলিশ কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান আইজিপির
দেশের মানুষের সেবায় পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. ময়নুল ইসলাম।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বিশেষ কল্যাণমূলক সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
তিনি পেশাদারিত্ব ও জনসেবা প্রত্যাশা পূরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইজিপি বলেন, শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। 'নতুন সমাজ গঠন ও বাংলাদেশ পুলিশকে বিকশিত করার সুযোগ আমাদের রয়েছে।' তিনি জোর দিয়ে বলেন, কর্মকর্তাদের অবশ্যই অন্যায় কাজে জড়িত হওয়া উচিত নয় বা অন্যকে তা করতে দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ৪৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক আইজিপি মামুন
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী দলগতভাবে কাজ করে এবং কার্যকর পুলিশ সার্ভিস গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।
আইজিপি বাহিনীর অভ্যন্তরে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রেখে সহকর্মীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্যও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আইজিপি তার বক্তব্যের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
সভা শেষে আইজিপি পঞ্চগড় সদর সার্কেলের নবনির্মিত অফিস ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ সময় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামসহ পঞ্চগড় জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অপরাধ করে শাস্তি এড়ানোর সুযোগ নেই: আইজিপি
১ মাস আগে
দুর্গাপূজায় দেশজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা আইজিপির
দুর্গাপূজার আগে দেশজুড়ে প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ উৎসব নিশ্চিত করতে আনসার ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে।
রবিবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বিঘ্ন উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, 'সব পূজামণ্ডপে ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসব উদযাপন করা হবে।’
আরও পড়ুন: আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার আশ্বাস আইজিপির
আইজিপি তিন স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, 'পূজা সামনে রেখে আমরা প্রতিটি জায়গায় টহল বাড়িয়েছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আনসার ও বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি জেলায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন রয়েছে এবং সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় ও নৌ অঞ্চল মনিটরিং করছে কোস্টগার্ড ও বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট।’
তিনি বাধাবিপত্তির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, বিশেষত সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধে সাইবার নজরদারি বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, 'এখানে বিশৃঙ্খলার কোনো জায়গা নেই। কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে, যাতে নাগরিকরা উৎসব চলাকালীন যেকোনো ঘটনা বা উদ্বেগের কথা জানাতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইনু-মেনন, পলকসহ সাবেক আইজিপি মামুন রিমান্ড শেষে কারাগারে
২ মাস আগে
আসন্ন দুর্গাপূজায় নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তার আশ্বাস আইজিপির
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পূজার স্থানগুলোতে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পুলিশ উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় এ কথা বলেন আইজিপি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সাবেক রেলমন্ত্রী ও আইজিপির বিরুদ্ধে বাস মালিকের মামলা
পূজা-পূর্ব, পূজা উদযাপন ও পূজা পরবর্তী প্রতিমা বিসর্জন- এভাবে তিন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে পূজার স্থানগুলোতে নিরাপত্তা অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি।
আইজিপি ময়নুল আরও বলেন, দুর্গাপূজায় যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে পুলিশ সজাগ রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো ঠেকাতে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।
পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব পুলিশকে কাজে যোগদানের নির্দেশ নতুন আইজিপির
সম্ভাব্য অপরাধমূলক কার্যকলাপের সময় তুলে ধরে আইজিপি বলেন, অপরাধীরা প্রায়শই গভীর রাতে বা ভোরের দিকে পূজার স্থানগুলো টার্গেট করে। তিনি পূজাস্থলে সিসিটিভি বা আইপি ক্যামেরা সচল রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা আয়োজকদের প্রতি আহ্বান জানান।
আইজিপি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য পরিচিত তা ধরে রেখে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
দুর্গাপূজার সময় সোয়াট, ক্রাইসিস রেসপন্স টিম, কুইক রেসপন্স টিম, ক্রাইম সিন ভ্যান এবং বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকের পুলিশ প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হবে: আইজিপি
এছাড়া উৎসবের নিরাপত্তা কার্যক্রম তদারকির জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটে মনিটরিং সেল স্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের ৩২ হাজার ৬৬৬টি স্থানে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ মাস আগে