সোমবার প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফরেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা অংশ নেন।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসাবে ঘোষণান প্রস্তাব এবং এ সম্পর্কিত গেজেট প্রজ্ঞাপনের ক-সিরিয়াল (তালিকায়) অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।’
এর আগে একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে সরকারকে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস হিসাবে কেন ঘোষণা দেয়া হবে না বলে ব্যাখ্যা জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের উত্তাল সময়ে, সেই ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বাঙালিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।