জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় পরদিন অনুষ্ঠিতব্য ‘বি’ ইউনিটের উত্তরপত্র (ওএমআর) পেয়েছেন ভর্তিচ্ছু ছয়জন শিক্ষার্থী।
রবিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রস্তুত করতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের।
ওইদিন ‘সি’ ইউনিটভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ; বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফটের ‘সি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘বি’ ইউনিটের ৬টি ওএমআর সরবরাহ করা হয়। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: জাবির ফার্মেসি বিভাগে দীর্ঘ সেশন জট, দায় নিতে রাজি নয় কেউ
এ বিষয়ে জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সি’ ইউনিটের ওএমআরগুলো স্ক্যান করার সময় ‘বি’ ইউনিটের ৬টি ওএমআর পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষে ওই কক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো বাড়তি প্রশ্নপত্র এবং ওএমআরগুলোর মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের আরও ৪৫টি ওএমআর খুঁজে পেয়েছি।
এছাড়াও সেখানে আরও বাতিল করা ৩টি ওএমআর পেয়েছি যেগুলো ‘বি’ ইউনিটের হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে এবং এর পরিবর্তে ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর দেওয়া হয়েছে।
এতে বুঝা যায় ওই রুমে দায়িত্বরত শিক্ষক ও ওই কয়েকজন শিক্ষার্থী সেটা শনাক্ত করতে পেরেছেন কিন্তু এ বিষয়টি অনুষদের ডিন স্যারকে বলা হয়নি।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে কল কেটে দেন।
সি’ ইউনিট সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এটা কীভাবে ঘটলো সেটি জানি না। তবে ডিন অফিস থেকে তো ‘সি’ ইউনিট ছাড়া অন্য কোনো ওএমআর সরবরাহ করা হয়নি।
তাই বিষয়টি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। রাত পৌনে ৩টায় এ বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এদিকে ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর হওয়ার পরও কর্তব্যরত শিক্ষকরা বিষয়টি না দেখেই সেখানে সই করায় পরীক্ষার কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
আরও পড়ুন: জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ছেন ১৩৫ জন পরীক্ষার্থী
সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের