সোমবার ব্র্যাক ব্যাংকের আইনজীবী আনিসুল হাসান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিগগির আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
রায়ে হাইকোর্ট নির্দোষ জাহালামের কারাভোগের জন্য ব্যাক ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে দায়ী করে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আদেশ দেওয়া হয়। রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে জাহালমকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে ব্রাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর জাহালমের কারাভোগ নিয়ে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ‘‘৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে: ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। একজন আইনজীবী প্রতিবেদনটি নজরে আনলে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশে জাহালম ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। একই সঙ্গে জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। জাহালমের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে দুদক, সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জাহালমকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।