ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলিয়ার বাকড়ি গ্রামের মাঠে গমখেতে কীটনাশক প্রয়োগ করে ৬০-৭০টি পাখি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
বাকড়ি গ্রামের কৃষক মো. মুন্নু গেলো কয়েকদিনে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হত্যার পর ওই পাখিগুলোকে তিনি লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন বলেও জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ দিন আগে নিজের ১৮ কাঠা জমিতে গমের বীজ বপন করেন স্থানীয় কৃষক মুন্নু। এরপর সেখানে শালিক, ঘুঘুসহ অন্য পাখি বসে অনেক বীজ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই কৃষক জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। ফলে কীটনাশক মেশানো গম খেয়ে একের পর এক পাখি মারা যেতে থাকে। এরপর মৃত পাখিগুলোকে রশি দিয়ে লাঠিতে বেঁধে ক্ষেতেই ঝুলিয়ে রাখেন তিনি। অনেক পাখিই এরই মধ্যে পচে গেছে, কোনোটি আবার শেয়ালে নিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কীটনাশক ছিটিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ১২ জেলে আটক
এছাড়া নির্দয়ভাবে পাখি হত্যার ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা বন কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে বলা হয়েছে, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক বছর জেল ও এক লাখ টাকা জরিমনা। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি হলে অপরাধীর দুই বছরের জেল, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ফসলের খেতে কীটনাশক দিয়ে পাখি হত্যা অবশ্যই অপরাধ। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হতে পারে। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।