এহসান সোসাইটি নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে কয়েকশ' গ্রাহকের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমি আদালতে হাজির হলে তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী শেখ আল জাবেদ বলেন, ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বিভিন্ন গ্রাহকের পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলায় ছলিম উল্লাহ রবিবার আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত আবেদন নাকচ করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভা সদরে ‘এহসান সোসাইটি’ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ছলিম উল্লাহ দেড় হাজার মানুষকে মোটা অংকের লাভের লোভ দেখিয়ে ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ও সুদমুক্ত প্রতিষ্ঠান উল্লেখ প্রায় পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এতে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন গ্রাহক আসাদুজ্জামান। ওই মামলায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে মাওলানা ছলিম উল্লাহসহ অন্যরা গা ঢাকা দেয়।
প্রতারিত গ্রাহকদের মধ্যে নাজিরহাট কুম্ভরপাড়া গ্রামের মো. হারুনের লভ্যাংশসহ পাওনা ১৩ লাখ টাকা, দৌলতপুরের এবিসি এলাকার এয়াকুবের আট লাখ, মাওলানা ছলিম উল্লাহ’র নিজের বাড়ির জাহেদুল আলমের চার লাখ, দৌলতপুরের আবদুল মান্নানের ২০ লাখ, নাজিরহাট বাজারের ন্যাশনাল ফার্মেসির মালিক মোস্তফার নয় লাখ, জান্নাত হোটেলের মালিক জাকির সওদাগরের পাঁচ লাখ টাকা।
প্রতারিত গ্রাহক ও মামলার বাদী আসাদুজ্জামান অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক হয়েও চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও কক্সবাজার ও ফটিকছড়িতে অসংখ্য বিলাসবহুল আবাসিক ভবন ও ভূসম্পদের মালিক ছলিম উল্লাহ। বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত রয়েছে তার মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন: হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী মারা গেছেন
হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার