সিলেটের বিশ্বনাথে ডবল মার্ডারের দুই মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত তিন জন ও মামলার প্রধান আসামিসহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কাদির পশ্চিম গাঁওয়ের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে।
সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১০ আসামির মধ্যে পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মনাফ (৪৬) ও তার ছেলে সুহেল আহমদ (৩৩) ও ইলিয়াস আলীকে (৩৮) ১০ বছরের কারাদণ্ড সহ ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। দশঘর গ্রামের ধন মিয়াকে (৪৫) তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পশ্চিমগাঁওয়ের আব্দুল মতিন (৩৫), ইসলাম উদ্দিন (৩০), আলম (২৯), রেজাউল করিম (৩০) ও ছাতকের কাদিপুরের রুবেল আহমদকে (২৮) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এছাড়া আসামি পক্ষের আজমান আলীর দায়ের মামলায় বাদী নুর উদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী (৫৫) ও আকবর আলীকে (৪৫) এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সিলেটের বিশ্বনাথের সিংগেরকাছ পশ্চিমগাঁওয়ে সরকারি জায়গায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী এবং আব্দুল মনাফ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবারক আলীর পক্ষের আব্দুল খালিক (৪৮) ও আব্দুন নুর (৪৬) নিহত হন। এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর নিহত আব্দুল খালিকের ছেলে নুর উদ্দিন বাদী হয়ে আব্দুল মানফসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । অন্যদিকে এ ঘটনায় আব্দুল মনাফ পক্ষে আজমান আলী বাদী হয়ে পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে স্কুলছাত্র হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বলেন, আদালতের এই রায়ে তারা হতবাক হয়েছেন। কারণ ডবল মার্ডারের ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় কোনো বিধানে।
সেজন্য বাদী পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান তারা।