একটি বেসরকারি বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবি শ্বাসকষ্ট ও খিঁচুনির সমস্যায় ভুগছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্ঘটনা বিভাগের আবাসিক সার্জন মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘ফারাবির অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। আমরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেছি এবং পর্যবেক্ষণে রেখেছি। ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারছি না।’
তিনি বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুইজন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নুরসহ অন্য তিনজনকে গত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
রবিবার রাতে আহত নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক এএফএম বাহাউদ্দিন নাসিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
আহতদের দেখার পর নানক বলেন, ‘ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোনো কিছুই সরকার মেনে নেবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে সেই দুস্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের নাম ব্যবহার করেই এই হামলা করা হোক না কেন, এর সাথে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
এছাড়া আহতদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানি, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেল।
রবিবার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের প্রায় ৫০ জন সদস্য এবং ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী ডাকসু ভবনে এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
হামলার পর নুরসহ মোট ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ভর্তি করে বাকিদের ছাড়পত্র দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।