তিনি বলেন, ‘এখন কৃষক পর্যায়ে ডিএপি সারের সর্বোচ্চ খুচরা মুল্য প্রতিকেজি ২৫ টাকা হতে কমিয়ে ১৬ টাকা এবং ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৩ টাকা হতে কমিয়ে প্রতিকেজি ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এই মৌসুমে খুব দ্রুত সময়ে এ মূল্য কার্যকর হবে।
সারের দাম কমানোয় সরকারকে অতিরিক্ত ৮০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সরকার কৃষি কাজের সারে কৃষকদের সাত হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়।’
মন্ত্রী জানান, কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, সুষম সার ব্যবহারের কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধকরণ, গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পরিবেশবান্ধব টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার ডিএপি সারের মুল্য পুনরায় হ্রাসের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও জানান, ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (এ্যামোনিয়াম ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট (অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ) রয়েছে।
‘ফলে এ সার প্রয়োগে একদিকে যেমন ইউরিয়া ও টিএসপি উভয় সারের সুফল পাওয়া যাবে আবার অর্থ ও শ্রম উভয়ের সাশ্রয় হবে,’ বলেন কৃষিমন্ত্রী।