তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা ভালো অবস্থায় আছি। কিন্তু কী কী কারণে আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি সেটা আমরা অবজারভেশনে রাখছি, যাতে আগামী দিনগুলোতে কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে কীভাবে আমরা সেটা মোকাবিলা করব। তবে সুনির্দিষ্টভাবে মশা মারার ওষুধের ঘাটতির কথা কেউ বলেনি।’
আরও পড়ুন:হাসপাতালে ৪৮ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন
রবিবার ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার সপ্তম আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন বলে তারা শুনেছেন। এর মধ্যে একজন শুধুমাত্র নিশ্চিত হওয়া গেছে, কিন্তু বাকি তিনজন সম্পর্কে তারা এখনও নিশ্চিত না।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে মশামুক্ত কোনো দেশ আছে কি না তা নিশ্চিত করে বলতে পারব না। তবে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে আছে। সবাই হয়তো স্বীকার করবে এ মুহূর্তে মশা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক নিয়ন্ত্রণে। আমরা ১২ মাসই যাতে ভ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করি সে বিষয়ে নির্দেশনা ছিল। এ বছর আমরা ১২ মাসই ভ্যাক্টর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করব। এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি নির্দেশনা দেয়ার তো বিষয় নেই। তবে সিটি করপোরেশন মশা মারবে। কিন্তু আপনার বাসায় যদি আপনি মশা প্রজনন করেন তাহলে সিটি করপোরেশনকে দায়ী করার পূর্বে আপনি নিজেই দায়ী থাকবেন। আপনি তো অন্যান্য নাগরিকের জীবন অতিষ্ট করতে পারেন না। নাগরিক তার দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে অন্যদের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে না। মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করছি। সবাইকে সতর্ক করেছি, তাৎক্ষণিক কাউকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না।’
‘বর্জ্য যেখানে থাকুক না কেন সেটা সিটি করপোরেশনের অপসারণ করার দায়িত্ব আছে। ফলে অতীতের তুলনায় শহর অনেকটা পরিচ্ছন্ন। আমাদের যে অর্জন রয়েছে সেটি নিয়ে সবাই যদি স্ব স্ব জায়গায় কাজ না করত তাহলে সফলতা আসত না। মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের দায়িত্বটা আমরা পালন করছি,’ বলেন মন্ত্রী।