তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার এখনও মহামারি আকার নিয়েছে বলা যায় না। মহামারির একটি নির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে।
তবে মহামারির সংজ্ঞা সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু ব্যাখ্যা করেননি মেয়র।
ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে গণসচেতনতামূলক এক সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন খোকন।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাসমূহের সঙ্গে পরামর্শ করার পর এটি নিশ্চিত করা যেতে পারে যে ডেঙ্গু মহামারি কিনা। একটি মহল বাস্তব পরিস্থিতিকে অতিরঞ্জিত করে তোলার চেষ্টা করছে।
ঢাকা শহরে তিন লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগী নেই দাবি করে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় সাত থেকে দশ হাজার। তিন লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগী কখনই হতে পারে না।
উল্লেখ্য, এবছর মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সরকারি তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৮ হাজার ৫৬৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আটজন মারা গেছেন।
ডেঙ্গু জ্বর কি?
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোর্যাজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কম থাকে।
ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোন ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুর উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশি গাঁটে ব্যথা, ত্বকে র্যাশ ওঠা।