হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় বিমানটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আবুধাবী যাবে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার গত ২৫ জুলাই সিয়াটল থেকে ঢাকায় আনা হয়। এই ‘গাঙচিল’সহ বিমান বহরে তিনটি ড্রিমলাইনার যুক্ত হলো। বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫টি।
টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে। গাঙচিল এর আসন সংখ্যা ২৭১টি, এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসের ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে ভ্রমণ করতে পারবেন ।
প্রতিটি আসনের সামনে প্যানাসনিক এলইডি এস-মনিটর রয়েছে। একই সঙ্গে ড্রিমলাইনারের ইন-ফ্লাইট এন্টারটেইনমেন্ট সিস্টেমে (আইএফই) থাকবে ১০০টির বেশি ক্ল্যাসিক থেকে ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। বিমানে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী ১৫ মিনিটের জন্য বিনামূল্যে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সংগে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। এর মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮। ইতোমধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে ৪টি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০। ৪র্থ এবং শেষ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ আগামী মাসে বিমান বহরে যুক্ত হবে।