বাংলাদেশ-ভারত 'মৈত্রী দিবস' উপলক্ষে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠানে ২০২০ ও ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে তাদের সংবর্ধিত করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘মৈত্রী দিবস': হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন মোদি
পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের দশ দিন আগেই, ভারত ও ভুটান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী জনাব কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও ঢাকায় এবং বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ কর্তৃক যৌথভাবে নির্বাচিত লোগো ও ব্যাকড্রপ ঢাকায় এবং সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬ ডিসেম্বর: ‘মৈত্রী দিবস’ ঢাকা-দিল্লির চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন
চলতি বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ বিশ্বের আরও ১৮টি দেশে একসঙ্গে মৈত্রী দিবস পালিত হয়েছে।