যাদের অফিস এখনো খোলেনি বা জরুরি কাজ নেই তাদের ৭-১৪ দিন পর ঢাকায় ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রবিবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম সতর্ক করে বলেন, সংক্রমণের হার কমায় আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোনো কারণ নেই, কারণ বাংলাদেশ এখনো কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল, প্রজ্ঞাপন জারি
তিনি বলেন, সরকার নির্দেশনা দিয়েছিল যে ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান করতে কিন্তু বেশিরভাগ জনগণ এই নির্দেশনা অবহেলা করে বিভিন্ন উপায়ে গ্রামে ফিরেছেন।
নাজমুল বলেন, আমরা অনুরোধ করছি যারা বাড়িতে গেছেন যাদের অফিস এখনো খোলেনি বা জরুরি কাজ নেই তারা যেনো ৭-১৪ দিন পর ঢাকায় ফেরেন।
তিনি বলেন, ‘যাদের ইতোমধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তারা যেনো নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বা জেলা সদর হাসপাতালে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অবশ্যই করিয়ে নেন। '
মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় ফিরে আসার সময় অবশ্যই তাদের শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৫ মৃত্যু, শনাক্ত ৬.৬৯ শতাংশ
নাজমুল ইসলাম বলেন, যারা ভারত থেকে বিভিন্ন পথে বাংলাদেশে এসেছে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা পাচ্ছি। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের অনেককেই আমরা দেখেছি আইন অমান্য করে পালিয়ে যেতে। যদি কেউ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কোয়ারেন্টাইন থেকে পালিয়ে যান সেটা কোনো যৌক্তিক আচরণ হতে পারে না, কারণ এট পুরো জাতির জন্য হুমকি স্বরূপ।
তিনি বলেন, যারা ভারত থেকে আসছেন তারা যেনো প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন অমান্য না করেন, এটা করে অন্যের জীবনকে যেনো ঝুঁকির মুখে না ফেলেন। জেনে শুনে কারও নিজ দেশের ক্ষতি করা উচিত নয়।