এছাড়াও হাইকোর্টের আদেশে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অনুপ কুমার সাহাকে প্রায় দুই বছর পর পুনরায় বিভাগে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও নকল মাস্ক সরবরাহকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্টার শারমিন জাহানের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘অনুপ কুমার সাহার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত দিয়েছে।’
এছাড়াও অধ্যাপক অনুপ কুমারকে বিভাগে যোগদান করতে না দেয়া এবং তথ্যগত ভুল বা ঘাটতি কেন হলো তা জানতে উপ-উপাচার্যকে (শিক্ষা) প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
শারমিন জাহানের বিষয়ে উপাচার্য জানান, ‘তার বিষয়ে গঠিত কমিটি বলেছে, এটা আদালতের বিচারাধীন। সেখান থেকে বিষয়টি সুরাহা হলে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নিবে।’
অব্যাহতি দেয়া দুই শিক্ষকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল জানান, ‘ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিদেশে অবস্থান করার কারণে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক নুসরাত ফারাহ এবং মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দেনা-পাওনা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, পিএইচডি সম্পন্ন হওয়ার আগেই ডক্টরেট ডিগ্রি ব্যবহার করে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করার অভিযোগে অনুপ কুমার সাহাকে ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্ট গত বছরের ২৫ নভেম্বর এক রায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে বিএসএমএমইউয়ের করা এক মামলায় শারমিন জাহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।