গণমৃত্যুর ঘটনাসমূহের ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদী অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তার অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে লাশ সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার ইউনিট প্রদান করেছে আর্ন্তজাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি)।
এ হিমাগার ইউনিট কম তাপমাত্রায় নিরাপদে লাশগুলোকে সংরক্ষণের সক্ষমতা বাড়াবে, যা হাসপাতালের উপর চাপ কমাবে এবং লাশের মর্যাদা রক্ষা করবে এমনটাই আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকক্ষের।
আরও পড়ুন: কুমুদিনী হাসপাতালের জন্য ভারতের অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী উপহার
জরুরী অবস্থা এবং সংকটকালীন পরিস্থিতি যেমন, চলমান মহামারী মোকাবেলায় লাশের যথাযথ ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৃত ব্যক্তির মর্যাদা সংরক্ষণ তার পরিবারের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাজনিত কোন ভুলের কারণে মানুষ যেন নিখোঁজ না হয়ে যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও সহায়তা করে।
এই হিমাগারের গুরুত্ব ব্যাখা করে আইসিআরসি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ জেনি হিউজ বলেন,‘দুর্যোগ ও জরুরি অবস্থার সময়, অবকাঠামোগুলো বাড়তি চাপে অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। বর্তমান মহামারি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরেছে গণমৃত্যুর ঘটনা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি ও সক্ষমতা আরও বাড়াতে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যাতে নিহতরা নিখোঁজ না হয়, মৃতদের অব্যবস্থাপনার শিকার হতে না হয়, শোকগ্রস্ত পরিবারগুলো যেন যথাযথ সম্মান পান এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যেন অযৌক্তিক ঝুঁকিতে রাখা না হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারতের লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর
গণমৃত্যুর ঘটনাগুলোর পর নিহতদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার প্রাথমিক স্থান হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পাশাপাশি দাফনের জন্য দাতব্য সংস্থাগুলোকে হস্তান্তরের আগে অজ্ঞাত মৃতদেহগুলো সংরক্ষণ করা হয় এখানে। যদিও ঢামেকে লাশ সংরক্ষণের বর্তমান সুবিধাগুলো বাড়তি চাহিদা ও প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। আইসিআরসির করা সম্প্রসারিত হিমাগারটি লাশ সংরক্ষণে হাসপাতাল এবং মর্গের উপর বাড়তি চাপ কমাবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুড়ে প্রথম সাড়াপ্রদানকারী হিসেবে কাজ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে এপ্রিল ২০২১ থেকে আইসিআরসি লাশ বহনের জন্য ৪১৫৫ টি বডি ব্যাগ, ২০ টি জরুরি কীট এবং ৯৯৪৫৬টি বিভিন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম(পিপিই) প্রদান করেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়ির ৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর