উদ্বিগ্ন পাথর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সম্প্রতি তাদের আমদানি করা পাথরের মজুদ সিলেট ও চট্টগ্রামে বেশি হওয়ায় কৌশল অবলম্বন করে উচ্চ মূল্য ও অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য কৌশলে তামাবিল স্থলবন্দরের পাথর আদমানি বন্ধ করা হচ্ছে। এতে তার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
তারা জানান, তামাবিলের প্রভাবশালী চক্র চট্টগ্রামের ব্যবসায় জড়িত থাকায় সিলেটের পাথর ব্যবসা কেন্দ্র ভোলাগঞ্জ, জাফলং ও তামাবিল স্থলবন্দরের পাথর ব্যবসা গ্রাস করে ফেলছেন।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাথর রপ্তানিতে ভারতের কোনো সমস্যা নেই। তবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পাথর আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।
ভোলাগঞ্জ স্টেন ক্রাশার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুন নূর বলেন, ‘বিদেশি আমদানিকৃত পাথর আনার ফলে আমাদের দেশের মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে করে আমাদের পাথর সমৃদ্ধ এলাকা সিলেট ধ্বংসের মুখে পড়বে।’
এ ব্যাপারে ডিসি গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। বিশেষ কোনো তথ্য থাকলে আমরা অভিযান করি। কী কারণে পাথর আসছে না আমি সঠিক বলতে পারব না। এ বিষয়টি কাস্টম কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা জানেন। তাদের অভ্যন্তরীণ কিছু হলে আমাদের দেখার কিছু নেই।’
কাস্টমস সুপার আলমগীর প্রধান বলেন, ‘গত শুক্রবার হতে পাথর আসছে না এটা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও পাথর আমদানি কারকের মধ্যে কিংবা ভারতের সাথে কোনো প্রকার স্যমস্যা থাকলে এটি তাদের বিষয়। আমরা সরকারি সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি। পাথর আমদানিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
এদিকে তামাবিল বন্দর ইনচার্জ লুৎফুর রহমান জানান, বন্দরের কোনো সমস্যা নেই। হয়ত ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার কারণে পাথর আমদানি বন্ধ করা হয়েছে।