১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয়, আন্তজেলা ও আঞ্চলিক সড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বেসকারি সংস্থা নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর) মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
২২টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৩৮৩টি দুর্ঘটনায় ৫৩ নারী ও ৭১ শিশুসহ ৪১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ৭২৫ জন আহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪০১টি। এতে ৪১৫ জন নিহত এবং ৮৮৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৮ জন নারী এবং ৬২টি শিশু ছিল। মার্চে ৩৮৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬ নারী ও ৮২ শিশুসহ ৩৮৬ জন মারা গেছেন এবং আরও ৮২০ জন আহত হয়েছেন।
এনসিপিএসআরআরের সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জানান, সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার জন্য তারা ১০টি বড় কারণ চিহ্নিত করেছেন।
কারণগুলো হলো: চালকদের মাঝে পাল্লা দিয়ে ও বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর মনোভাব, চালক বা কন্ডাক্টরদের কাছে দৈনিক ভিত্তিতে চুক্তিতে গাড়ি দেয়া, লাইসেন্স ছাড়া চালক নিয়োগ, পথচারী ও ছোট গাড়ি বিশেষ করে মোরটসাইকেল চালকদের সচেতনতার অভাব, অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই এবং চালকদের ট্রাফিক আইন ভেঙে ওভারটেক করার প্রবণতা।
বাকি কারণের মধ্যে আছে: বিরতিহীনভাবে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালানো, অনুপযুক্ত যান বন্ধে আইন প্রয়োগের অভাব, দীর্ঘ যাত্রায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার বৃদ্ধি এবং স্থানীয়ভাবে বানানো যাতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।