রাজশাহী কলেজে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারত এ বিষয়ে প্রায়শই তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করে। চুক্তিটি স্বাক্ষর করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আমি মনে করি এটি করা হবে।’
তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাব্য কোনো তারিখের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।
ভারতের অভ্যন্তরীণ কারণে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করা যায়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, মানব সম্পদ এবং নদী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে তারা যদি এগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারে তবে এটি সবার জন্য অভিশাপ হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫৪টি অভিন্ন নদী নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত কাজ করছে।
গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছিলেন যে, ২০১১ সালে উভয় দেশের সরকারই সম্মত হয়ে তিস্তার পানি বণ্টনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির কাঠামোটি শিগগিরই স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন দেখার জন্য বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষা করছে।
৫৩ দফার যৌথ বিবৃতি অনুসারে, দু'দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সম্পর্ককে ছাড়িয়ে যাওয়া বন্ধন’ বলে অভিহিত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন যে শিগগিরই ওই চুক্তি সম্পাদনের জন্য তার সরকার ভারতের সকল অংশীদারদের সাথে কাজ করছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের সাথে ভারত সরকারের সকল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
কর্মকর্তারা জানান, পানিবণ্টন ইস্যুতে দু'দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার আগে বাংলাদেশ ও ভারত আগামী ডিসেম্বরে পানিসম্পদ সচিব-পর্যায়ের বৈঠক করার বিষয়ে আলোচনা করছে।
দু'দেশই অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনার জন্য এ বছর একটি যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে না। তবে দুই পক্ষই যাতে উপকৃত হয় সেজন্য ভারতের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে উন্নত জীবনযাপনের জন্য সরকার এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসান চরে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
তবে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে তাদের স্থানান্তরিত করার জন্য এখনও কোনো তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা শিবিরে ভূমিধস ও মৃত্যুর ঝুঁকি এড়াতে চেয়েছি।’
এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের অধীনে নতুন মার্কিন সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক আরও বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।