তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট সংখ্যা আমাদের হাতে নেই। তবে তাদের একটি সুস্পষ্ট পরিসংখ্যান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর অন্য দেশেও এর কার্যক্রম চালাবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সোমবার (২০ মে) সচিবালয়ে নিজ কক্ষে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইসের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় নারী ও শিশুর জীবনমান উন্নয়নের অভূতপূর্ব পরিবর্তন উল্লেখ করে জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইস।
তিনি নারীর নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকা এবং নতুন করে কাজ শুরু করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সামাজিক নিরাপত্তা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সহিংসতা, নারী নির্যাতন, জেন্ডার বাজেট, মাতৃস্বাস্থ্য, কিশোর-কিশোরীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীদের জীবনের ঝুঁকিসহ নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়।
এছাড়া নারী ও শিশুর জীবনমান উন্নয়নে জাতিসংঘের ১৭টি সংস্থার মধ্যে সংযোগ স্থাপন, গোলটেবিল বৈঠক, জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগ এবং আন্তমন্ত্রণালয় যোগসূত্রের উপর আলোকপাত করা হয়।
সাক্ষাৎকারে প্রতিমন্ত্রী জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতিসংঘের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে কাজ করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গুয়েন লুইস জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি, গীতাঞ্জলি সিং ইউএন উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাজমা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
এআই’র বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আইন করা হচ্ছে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী