খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ‘লারমা স্কয়ার’ এলাকায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের অর্ধ-শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করে। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি ছাত্রদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। তাদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে একদল উত্তেজিত জনতা লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকানপাট পুড়ে যায়।
বর্তমানে এই ঘটনায় দীঘিনালায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে বলে বাঙ্গালি সংগঠনগুলোর দাবি।