খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বেড়েছে পর্যটকদের সমাগম
খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে। এতে ক্ষতি পুষিয়ে উঠছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পর্যটন কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের সুদিন ফেরার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
করোনার সময় থেকেই এই পর্যটন খাতে ধস নামতে শুরু করে। আঞ্চলিক সমস্যাসহ নানা কারণে মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন স্পটগুলো। ফলে পর্যটকের অভাবে লোকসানও গুণতে হয় বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের।
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।
এদিকে খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা, জেলাপরিষদ পার্ক ঘুরে দেখা যায়- পর্যটক ভরপুর রয়েছে। পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন পর্যটকরা।
তবে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসা অধিকাংশ পর্যটক মূলত সাজেক কেন্দ্রিক বেড়াতে আসেন। খাগড়াছড়িতে কম সংখ্যক কয়েকটি পর্যটনস্পট হওয়ায় সাজেক আসা যাওয়ার ফাঁকে স্পটগুলো ঘুরে যান পর্যটকরা।
পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাগড়াছড়িতে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে নিত্য নতুন পর্যটন স্পট তৈরি করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ইকো-ট্যুরিজমের পাশাপাশি আধুনিকতার মিশেলে তৈরি করতে হবে এসব স্পট। এতে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটবে।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী পরিতোষ ত্রিপুরা বলেন, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের আসা-যাওয়া বেড়েছে। আগের তুলনায় বেচা বিক্রি বেড়েছে। সামনে শিক্ষার্থীদের স্কুল বন্ধ হবে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসবে। প্রত্যাশা করছি পর্যটক আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা ও মেডিকেল ক্যাম্প
জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের দোকানদার্ খুমালি ত্রিপুরা বলেন, কিছুদিন আগে বেচা বিক্রি ছিল না। সারাদিন অলস বসে থাকতে হতো।
এছাড়া এখন পর্যটকের সঙ্গে বেচা-বিক্রিও বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পর্যটকের সমাগম হবে আশা প্রকাশ করেন খুমালি ত্রিপুরা।
গাড়ি চালক আব্দুল জলিল বলেন, পর্যটক বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। পর্যটক না থাকলে বেকার হয়ে পরেন গাড়িচালক এবং সহকারীরা।
মনটানা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. রুবেল পারভেজ বলেন, সাজেক কেন্দ্রিক পর্যটক বেড়েছে। বেশিরভাগ গাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় চলে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি সদর কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য কমে যাচ্ছে।
অরণ্য বিলাসের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুর রশীদ সাগর বলেন, হোটেলের বুকিং রয়েছে, তবে গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। এ বছর সরাসরি পর্যটকরা দীঘিনালা চলে যাচ্ছে। এরফলে রাত্রিযাপন কমে যাচ্ছে পর্যটকদের।
খাগড়াছড়ি সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান মো. আরিফ বলেন, প্রতিদিন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাতায়াত করে ৫০-৬০টি পর্যটকবাহী গাড়ি। এছাড়া ছুটির দিনগুলোতে ৮০-১০০ গাড়ি সাজেক যাতায়াত করছে।
জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কের তত্ত্বাবধায়ক থোয়াইংঅংগ্য মারমা বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৪০০-৫০০ পর্যটক পার্কে আসছেন। ছুটির দিনগুলোতে দ্বিগুণের বেশি পর্যটক হয়। ইতোমধ্যে পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য কিডস জোন রয়েছে।
অনেকেই মনে করেন পাহাড়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। সরকারি-বেসরকারি উদ্যেগে এ খাত আরও এগিয়ে যাবে প্রত্যাশা স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: তিন ইউপিডিএফ কর্মী হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে সড়ক অবরোধ
১ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে চুমকি রাণী হত্যা, ১ সন্দেহভাজন আটক
খাগড়াছড়িতে ছুরিকাঘাতে চুমকি রাণী দাশ (৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মো রাসেল (২২) নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার খাগড়াছড়ি শহরের অপর্ণা চৌধুরী পাড়া এলাকায় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে চুমকি দাশকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩৬ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ৩
এ সময় ভিকটিমের গলার হার ও কানের দুল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নিহত চুমকি দাশ একই এলাকার তপন কান্তি দাশের স্ত্রী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশী সিএনজি চালক মো. রাসেল চুমকি দাশের ছেলে প্রান্ত দাশের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে ৯০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রান্তের সঙ্গে রাসেলের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
হত্যার আগে রাসেল চুমকি দাশের সঙ্গে কথা বলতে তার বাসায় গিয়েছিল।
চুমকি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) একটি মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
২ সপ্তাহ আগে
খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর মানবিক সহায়তা ও মেডিকেল ক্যাম্প
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় জনসাধারণের মাঝে মানবিক সহায়তা ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ১৫ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি মাটিরাঙ্গা জোনের উদ্যোগে পরশুরামঘাট আর্মি ক্যাম্পের কবুতরছড়া মোড় এলাকায় এর আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রায় ছয়শত পাহাড়ি, বাঙ্গালি জনসাধারণের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়।
এছাড়া, শহীদ লেফটেন্যান্ট মুশফিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি সিলিং ফ্যান, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবে ১০ হাজার টাকা ও অস্বচ্ছল পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা জোনের জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান ও উপঅধিনায়ক মেজর মো. মুরাদ হোসাইন।
১ মাস আগে
এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কারণে সাজেক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে প্রশাসন। এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই। খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলো মঙ্গলবার থেকে উন্মুক্ত হবে ফলে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন।’
এর আগে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। এতে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় সাজেকে পর্যটকদের প্রবেশ।
আরও পড়ুন: ৭ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের সব পর্যটন কেন্দ্র চালু
সাজেক কটেজ মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, সাজেকে মোট ১২০টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকশূন্য থাকার কারণে রিসোর্ট-কটেজের অধিকাংশ কর্মচারী সাজেক ছেড়ে চলে গেছেন।
এছাড়া সহিংসতার জেরে ৮ অক্টোবর খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে বিরত থাকার অনুরোধ জানায় প্রশাসন।
পর্যটন কেন্দ্র উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘এখানকার পর্যটন খাতের সঙ্গে অনেক মানুষের জীবন -জীবিকা জড়িত। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকায় এখাতে অনেকে বেকার হয়ে পরেছে। পর্যটন চালু হওয়ায় খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।’
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ির জেলাপ্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাজেকে যেহেতু খাগড়াছড়ি জেলা সড়ক হয়ে যেতে হয় সেক্ষেত্রে মঙ্গলবার থেকে সাজেকেও পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন।’
তিনি আরও জানান, ১ মাস পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রঘুরে দেখলেন ৩৮ ভারতীয় ট্যুরিস্ট
১ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ব্যক্তির মৃত্যু
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার বোয়ালখালি (সদর) ইউনিয়নের পোমাংপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা (৪৫) ত্রিপুরা পোমাংপাড়া গ্রামের মৃত বদন কুমার ত্রিপুরার ছেলে। তিনি ওই এলাকায় নামকরা বাবুর্চি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাকারিয়া জানান, মধ্যরাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। ভোরে খবর পেয়ে নিহতের বাড়ির কাছে পোমাংপাড়া থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে যে, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
২ মাস আগে
খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় ৬১টি মণ্ডপে চলছে পূজার প্রস্তুতি
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। জেলার ৯টি উপজেলায় এবার ৬১টি পূজা মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরইমধ্যে শেষ হয়ে অধিকাংশ মন্দিরের প্রতিমার রঙের কাজ।
প্রশাসন ও সবার সহযোগিতায় নিরাপদ ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপন করতে পারবেন আশা করছেন খাগড়াছড়ির সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিটি মণ্ডপে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। থাকবে মোবাইল টিম এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপরও নজর রাখা হবে।
পূজা আয়োজকরা জানান, এরইমধ্যে তারা পূজার প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কয়েকটি প্রতিমা বাদে অধিকাংশ প্রতিমার রঙের কাজ শেষ হয়েছে। চলছে ডেকোরেশনের কাজ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ১০২ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ,খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক তমাল দাশ লিটন জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এবার নতুন বাংলাদেশে মায়ের আগমনের অপেক্ষায় আছেন। এবার সবার মঙ্গল কামনায় সবাই যেন সুন্দর ও ভালোভাবে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন এই চাওয়া থাকবে মায়ের কাছে।
আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের খাগড়াছড়ি শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার।
পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা আয়োজনে সব রকমের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। কাজ করছে মনিটরিং টিম।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ৬১টি পূজা মণ্ডপে ৩১ টন খাদ্য শস্য, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোন থেকে ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে নানা জাতিগোষ্ঠীর নানা সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই প্রত্যেক ধর্মের উৎসব পালন হয় সম্প্রীতির পরিবেশে। বিশেষ করে বড় ধর্মীয় উৎসবগুলোতে সব সম্প্রদায়ের মানুষের মিলন-মেলা হয়। এই উৎসবে মহানন্দে শামিল হন এখানকার পাহাড়ি-বাঙালি হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই। গ্রাম-শহর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে এই উৎসবের আড়ম্বর আমেজ।
এবারও দুর্গাপূজায় প্রচুর লোকের সমাগম হবে বলে আশা করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের নেতারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: সেনাপ্রধান
২ মাস আগে
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে হওয়া সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দীঘিনালায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত লারমা স্কয়ার বাজার পরিদর্শন করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরীর নেতৃত্বে পরিদর্শনে ছিলেন খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রোজলিন শহীদ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
আগুনে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
পরে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে পাহাড়ি ও বাঙালি নেতা ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
এসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করার অনুরোধ জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী জানান, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য, সুধীজনের মতামত, ঘটনার ভিডিও ও পত্রপত্রিকার রিপোর্ট দেখে ঘটনার কারণ উদঘাটন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভোরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে হত্যাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সহিংসতার ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও অনেকে।
এছাড়াও পুড়ে গেছে অনেক দোকানপাট, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের ঘর-বাড়ি।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সহায়তার আশ্বাস তথ্য উপদেষ্টার
২ মাস আগে
দীঘিনালায় যুবকের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, নিরাপত্তা জোরদার
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ‘লারমা স্কয়ার’ এলাকায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আশপাশের অর্ধ-শতাধিক দোকানপাট পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা কলেজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ বের করে। বিক্ষোভটি লারমা স্কয়ার অতিক্রম করার সময় কিছু পাহাড়ি ছাত্রদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দও শোনা যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন আহত হন। তাদের দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে একদল উত্তেজিত জনতা লারমা স্কয়ার এলাকার বাজারে আগুন দেয়। এতে ৫০টির বেশি দোকানপাট পুড়ে যায়।
বর্তমানে এই ঘটনায় দীঘিনালায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হক জানান, দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিয়েছে। আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সমন্বিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন (৩০) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একটি আঞ্চলিক দলের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে বলে বাঙ্গালি সংগঠনগুলোর দাবি।
৩ মাস আগে
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত খাগড়াছড়ির নিম্নাঞ্চল
টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও প্লাবিত হয়েছে খাগড়াছড়ির নিচু এলাকাগুলো।
গঞ্জপাড়া, অপর্ণা চৌধুরী পাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাডেবা, বটতলী, ফুটবিল এলাকার নিচু এলাকায় পানি উঠেছে।
ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে মানুষ।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর প্রায় তিন শতাধিক পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।
এই নিয়ে গত দুই মাসে ৪ বার বন্যা কবলিত হলো এই পার্বত্য জেলা।
৪ মাস আগে
খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংগঠক জুনেল চাকমাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২৭ জুলাই) ভোরে কবাখালী ইউনিয়নের শান্তি বিকাশ কার্বারি টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হত্যাকাণ্ডের সময় জুনেল কাঙারীমা ছড়ায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে ছিলেন।
নিহত জুনেল চাকমা (৩১) দীঘিনালা সদরের আমতলী গ্রামের তপ্ত কাঞ্চন চাকমার ছেলে। তিনি ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের তারাবুনিয়া এলাকার সংগঠক ছিলেন। সম্প্রতি গণতান্ত্রিক যুবফোরাম থেকে ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপ নব্য মুখোশধারীদেরকে দায়ী করে হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, হত্যার খবর শুনে লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে আনার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
৪ মাস আগে