তিনি বলেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুস্থ ও দিনমজুরের একটি তালিকা তৈরি করতে বলব। আমাদেরকে সমাজের এ শ্রেণির মানুষদের কথা ভাবতে হবে, তাদেরকে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে।’
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে করোনাভাইরাস ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার পিপিই এবং আর্থিক সহায়তা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চেক এবং পিপিই গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা দিন আনে দিন খায় তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। সেই সাথে আমাদেরকে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজের খেটে খাওয়া মানুষদের খাবার ও জীবিকার ব্যবস্থা না করে তাদেরকে ঘরের বাইরে যেতে না দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি, আমি বিশ্বাস করি, যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করার সাহস ও শক্তি আমাদের আছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি কখনও পরাজিত হয়নি। ‘আমরা কখনই হেরে যাব না, আমাদের সবাইকে এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী চিন্তিত না হয়ে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সকলকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান। ‘আমাদের এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে যাতে দেশের প্রতিটি মানুষকে আমরা নিরাপদ রাখতে পারি।’
এ পরিস্থিতির কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্যের সংকট দেখা দিতে পারে, তাই দেশের এক ইঞ্চি জমি যেন চাষাবাদের বাইরে না থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তি হলো উর্বর জমি, খেটে খাওয়া মানুষ। আমরা বেশি বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে পারলে, অন্যকে সাহায্য করতে পারবো।’
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যের মজুদ রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী এক বছরে দেশের জন্য কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
বর্তমানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিশ্বে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। চীনে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের জনগণের সুরক্ষার জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা বিচক্ষণতার সাথে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকার এ ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতির পরিমান কম রাখার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুরক্ষার বিষয়েও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যারা আমাদের চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের সুরক্ষার ব্যাপারে আমাদের ভাবতে হবে। তাদের জন্য পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সরবরাহ করতে হবে।’
বাংলাদেশের কাছ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সহায়তা চাওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মানবিকতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সহায়তা প্রদান করবে।