করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ২৪৭ জন মারা গেছেন, এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) সর্বোচ্চ ২৩১ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনে।
এছাড়া একই সময়ে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ১৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের ১৩ জুলাই সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৬৮ জন আক্রান্ত হয়েছিল। এনিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭জনে।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহী হাসপাতালে করোনা ইউনিটে ১৭ জনের মৃত্যু
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ৫০ হাজার ৯৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৯.৮২ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৪১ জন এবং নারী ১০৬ জন।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৫২জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। সুস্থতার হার ৮৫.৬০ শতাংশ।
শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন ৪ হাজার চিকিৎসক আমরা নিচ্ছি, নার্সও ৪ হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৪৬ মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, গ্রামে ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে একটা অনীহা আছে, তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকা দয়োর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরাই আছেন ৭০ শতাংশ, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খুললে আইনানুগ ব্যবস্থা: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে শিল্প কারখানা খোলার প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন সংরক্ষণ এবং ওষুধ শিল্প কারখানা বাদে সব শিল্প-কারখানা সরকারি-বেসরকারি অফিস বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্ধ থাকার কথা। শিল্প কল কারখানা খুলে থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করছি, কারা খুলছে তা যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পড়ুন: সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার বিষয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা এখন পর্যন্ত সরকারের নেই বলে জানান ফরহাদ হোসেন।