সোমবার সচিবালয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল মান্নান জানান, সারা বিশ্বে নয়টি কোম্পানি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে চীনের একটি কোম্পানিকে ট্রায়ালের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি কোম্পানির সাথে এ বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ চলছে।
সচিব বলেন, ‘ভারতের একটি প্রতিষ্ঠান কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। রাশিয়ার সাথেও যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদের ইনসেপ্টা, পপুলার, বেক্সিমকো, হেলথ কেয়ার, স্কয়ারসহ বড় কোম্পানিগুলোকে কাজে লাগাতে চাচ্ছে। বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের কোম্পানিও আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।‘
‘ভ্যাকসিনের জন্য সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ আছে। যেকোনো সময় চাইলে আমরা যাতে ভ্যাকসিন কিনতে পারি সে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ২৫ থেকে ৩০ লাখ ভ্যাকসিন আনতে চাচ্ছি। সে অনুযায়ী আগাম বুকিং দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
এছাড়া ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করা হবে এবং চিকিৎসকসহ অন্যান্য ফ্রন্টলাইনার ও বয়োবৃদ্ধদের এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও জানান সচিব।
বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ প্রক্রিয়া কিভাবে শুরু হবে তাদের চিঠি পেলে সেটি জানা যাবে। তাদের সাথে গতকাল বৈঠক হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে তারা চিঠি দেয়ার কথা জানিয়েছে।’
শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কতটা প্রস্তুত তা জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দেশে করোনা এখন সহনশীল অবস্থায় আছে। দ্বিতীয় দফায় প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তা মোকাবিলার প্রম্তুতি আমাদের আছে।’