বুধবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবুল আসাদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকর মাহবুব হোসেন ও মোহাম্মদ শিশির মনির।
মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর সংগ্রাম পত্রিকার এক প্রতিবেদনে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর জেরে মোহাম্মদ আফজাল নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দিন ১৩ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ ব্যানারে কয়েকজন যুবক হাতিরঝিলে দৈনিক সংগ্রামের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। পরে তারা পত্রিকাটির অফিসের ফটকে তালা ঝুলিয়ে ও পত্রিকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান এবং সম্পাদককে গ্রেপ্তারসহ পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধের দাবি করেন।
সে দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংগ্রামের কার্যালয় থেকে সম্পাদক আবুল আসাদকে হেফাজতে নেয় হাতিরঝিল থানা পুলিশ। ১৪ ডিসেম্বর আদলতে হাজির করার পর তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে আবুল আসাদকে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ’র আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে গত ১১ মে হাইকোর্টে আবেদন করেন আবুল আসাদ।