মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন।
তিনি বলেন, রিট আবেদনটির ওপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: এমসি কলেজে ধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১৪ অনুচ্ছেদে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার ব্যক্তিদের নাম ও ছবি প্রকাশ ও সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রিট আবেদন আইনের এই বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আবেদনে এই আইনের ১৪ ধারা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তথ্য সচিব এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারির নিষ্ক্রিয়তা কেন অভৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’: ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি গ্রেপ্তার
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনি বাধা থাকলেও হরহামেশাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া কলাবাগানের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সে ঘটনা অনেককেই ব্যথিত করেছে। রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রেমিক গ্রেপ্তার
প্রসঙ্গত, কলাবাগানে ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় একটি ইংরেজী দৈনিকে ওই শিশুর ছবি প্রকাশ করা হয়। ওই ছবি প্রকাশে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের পর হাইকোর্ট আইনের সংস্পর্শে আসা কোনো শিশুর ছবি বা পরিচয় প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। একইসঙ্গে সব গণমাধ্যমকে ভবিষ্যতে আইনের সংস্পর্শে আসা কোনো শিশুর ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেন।