রবিবার সন্ধায় কক্সবাজারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন শিকদার মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার আন্তর্জাতিক রুটগুলোকে নির্বিঘ্ন করতে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে আরও দুটি বোয়িং৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।’
এছাড়া ইউএস বাংলা বিমান বহরে দুটি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ যুক্ত করে যশোর-চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর-কক্সবাজার, সিলেট-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রুটের পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি।
মেজবাহউদ্দিন বলেন, ‘সারা বিশ্ব আজ কোভিড ১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশ্ব আজ বিধ্বস্ত। সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের করাল গ্রাসে এভিয়েশন অ্যান্ড টুরিজম ইন্ডাস্ট্রিজ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সারাবিশ্বের আকাশপথ অনেকটা লকডাউন অবস্থায় ছিল। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস থেকে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জুন-জুলাই পর্যন্ত প্রায় সকল ধরনের আকাশ পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। বর্তমানে স্বল্প পরিসরে আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে নানাবিধ স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা মেনে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে অন্যান্য এয়ারলাইলের ন্যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সও।’
সিইও বলেন, ‘গত ২৮অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বল চুক্তির অধীনে আমরা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই এবং চট্টগ্রাম থেকে চেন্নাই রুইফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছি। গত ১৭ নভেম্বর থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অন্যতম গন্তব্য সিলেট থেকে সপ্তাহে দু'টি ফ্লাইট মাস্কাটে পরিচালনা শুরু করেছে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা, চেন্নাই ছাড়াও মাস্কাট, দোহা, সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে মাস্কাট, দোহা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।’
তিনি বলেন, ‘কোভিড ১৯ কালীন সময়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সই একমাত্র দেশিয় এয়ারলাইন্স, যা একটি মাত্র রুটে ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রেখেছিল তা হচ্ছে ঢাকা থেকে গুয়াংজু।’
সংবাদ সম্মেলনে করোনা মোকাবিলায় ইউএস বাংলার সহায়তার কার্যক্রম তুলে ধরে মেজবাহউদ্দিন বলেন, করোনা মহামারির শুরুর দিকে সারাদেশে ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্য পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার, ইনফ্রারেড থার্মোমিটারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল, বারডেমসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ও বিভিন্ন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উপহার হিসেবে দিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।