নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত নয় হাজার ৪৪৫ পরিবারকে ২ শতাংশ জায়গাসহ ঘর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছর তীব্র বন্যা না হলেও ব্যাপক নদী ভাঙন হয়েছে। নদী ভাঙনে নয় হাজার ৪৪৫টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা এ তালিকা পাঠিয়েছি। তারা সবাই ২ শতাংশ জায়গাসহ বাড়ি পাবে। অস্থায়ীভাবে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ক্রয় করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি জানান, আগামীকাল ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মুজিব শতবর্ষে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
এ বছর জাতীয়ভাবে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ। মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতিকে জোরদার করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমরা কার্যক্রম গ্রহণ করছি।
তিনি বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যুহার কমাতে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে মানুষের জানমাল রক্ষার্থে মাটির কেল্লা নির্মাণ করা হয়, যা সর্ব সাধারণের কাছে মুজিব কেল্লা নামে পরিচিত। তারই আধুনিক রূপে উপকূলীয় ও বন্যা উপদ্রুত ১৪৮টি উপজেলায় ৫৫০টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উপকূলীয় দুর্গত জনগণ যেমন সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে তেমনি তাদের প্রাণিসম্পদকে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারবে।
এছাড়া জনসাধারণের খেলার মাঠ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও হাটবাজার হিসেবেও এটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানান তিনি।