সোমবার নাটোরের শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার পুনর্নির্মিত মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের সাথে যৌথভাবে ভার্চুয়াল সভায় মন্দির উদ্বোধন করেন।
সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম এবং নাটোরের মেয়র উমা চৌধুরী জলিও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
পলক বলেন, ‘নাটোরকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে গড়ে তুলব। এ উন্নয়নের লক্ষ্যে পথ চলায় ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত। সফটওয়্যার শিল্পে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তাকে কাজে লাগিয়ে অদূর ভবিষ্যতে ভারত বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও প্রসারিত করবে।’
এ সময় রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশন নাটোরের শ্রী শ্রী জয়কালী মাতার মন্দিরের সংস্কার কাজে সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। এ মন্দিরটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। আমাদের অভিন্ন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে ভারত বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অংশীদার যা আমাদের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জোরদার করে।’
শ্রী শ্রী জয়কালী মন্দিরটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরাতন এবং নাটোরের অন্যতম প্রাচীন মন্দির। অষ্টাদশ শতাব্দির শুরুর দিকে এ মন্দির নির্মাণ করেন দয়ারাম রায়, যিনি ছিলেন দিঘাপতিয়া রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও নাটোরের রানী ভবানীর প্রভাবশালী দেওয়ান।
এ মন্দিরে দুর্গা ও কালীপূজার মতো বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব প্রতিবছর অত্যন্ত উদ্দীপনা এবং উৎসাহের সাথে পালন করা হয়। মন্দিরের প্রাঙ্গনে শিবমন্দিরও রয়েছে।
২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর মন্দিরটি পুনর্নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ভারত সরকারের ৯৭ লাখ টাকা অনুদান এবং হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টস (এইচআইসিডিপি) স্কিমের আওতায় মোট ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অর্থায়নে এ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে মন্দির কমিটি।